ড. এ কে আজাদ চৌধুরী : প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা সচিব ও কারিগরি সচিব জাতীয়করণের আশ্বাস দেন। কবে নাগাদ হবে, কতজন হবে, কত বাজেট হবে, সে সম্বন্ধে কিছু জানানো হয় নি। বিশাল বাজেটের ব্যাপার। তবে আশ্বাস দিয়েছে মানে সরকার সজাগ। এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এটা করলে দেশের ভালো হবে। প্রাথমিক শিক্ষা দান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সরকার যখন বলেছেন নিশ্চয়ই হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করার সাথে বিশাল বাজেট জড়িত। সেটা করতে গেলে যে প্রস্তুতি, সেটা নিশ্চয়ই সরকার নেবে। এটা করলে দেশের জন্য ভালো হবে, শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভালো হবে। যে বাজেট দরকার, সেই বাজেট কোথা থেকে আসবে? আমি পুরোপুরি শংকামুক্ত নই। ধাপে ধাপে যদি করা হয়, তাহলে করা সম্ভব। শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের ইতিবাচক প্রভাব জাতির ওপর পড়বে। শিক্ষকরাও সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ছাত্ররা এই সুযোগটা গ্রহণ করবে। এটা বিরাট একটা পদক্ষেপ। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে সময় লাগবে। তবে সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করছে সরকার, সেজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আওতায় আনা হয় নি তাদেরকেও নিশ্চয়ই জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। বঙ্গবন্ধু নিজেই জাতীয়করণের সুচনা করেছেন প্রাইমারী স্কুল থেকে। নিশ্চয়ই কিছু সময় লাগবে। সক্রিয় বিবেচনায় থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। সরকারী উদ্যোগ সমন্বিত করা হবে।
পরিচিতি : শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ