সজিব খান: একটি পত্রিকা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে চরিত্র হনন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন। বিষয়টিকে হলুদ সাংবাদিকতা আখ্যায়িত করে এর থেকে বাঁচতে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে ‘প্রোটেকশন’ চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলতে গিয়ে নিজের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে অভিযোগ করেন মোতাহার হোসেন। প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে তিনি ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’ এর নাম উল্লেখ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এ বিষয়ে বিশেষ অধিকার কমিটিতে নোটিস দেওয়া হলে তা বিবেচনা করা হবে।
মোতাহার হোসেন বলেন, ‘পত্রিকাটি লিখেছে, আমি ভারতে চলে যাবো। গুলশানে আমার নামে মোতাহার হোসেন টাওয়ার আছে। আমি নাকি আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নিয়ে সংকটে আছি ইত্যাদি। আর বলে আমি নাকি সেপাই!’
তিনি বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের পর আমার স্ত্রীও এখন প্রশ্ন তুলছে। একাত্তর সালে নয় মাস ছিলে ভারতে, তখন আমার সঙ্গে বিয়ে হয়নি। ওইদিকে আবার জমি কিনে বাড়ি-ঘর করে রাখছো কিনা? তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলেছে, আওয়ামী লীগ ফেল করলে নাকি আমি ওই বাড়িতে গিয়ে থাকবো।’
ডেপুটি স্পিকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, অনেক এমপি’র বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। কে আমাদের প্রকেটশন দেবে? আপনি আমাদের হাউজের গার্জিয়ান। আপনি যদি প্রটেকশনের ব্যবস্থা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি এ বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত করেন। আমরা এসব ইয়েলো জার্নালিজম থেকে বাঁচতে চাই। আপনার প্রটেকশন চাই। মানসম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।’
এরপর ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের সবাইকে তিনি চেনেন। আমাদের সবার আমলনামা তিনি জানেন। খবরের কাগজে কে কী লিখলো, কী লিখলো না, তাতে কিছুই যায় আসে না।’
ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘আপনি একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। উত্তরাঞ্চলে অনেক স্কুল করে দিয়েছেন। আপনাকে খাটো করে দেখার কিছু নেই। আপনাকে খাটো করে খবরের কাগজে লিখতে পারে। কিন্তু আপনাকে এলাকার মানুষ চেনে। আমরা আপনাকে চিনি। প্রধানমন্ত্রীও আপনাকে জানেন। শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আর আমরা যারা যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, এ ধরনের ঠুনকো কথায় পিছপা হবো না।’
এরপর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, ‘মোতহার হোসেনের চরিত্রহননের জন্য পত্রপত্রিকায় যে কথাগুলো লেখা হয়েছে, এ বিষয়ে স্পিকার ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিশেষ অধিকার কমিটিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে ডেকে এই তথ্য কোথায় পেলো, জানতে চাওয়ার অধিকার স্পিকারের আছে। এজন্য সদস্যকে একটি নোটিশ দিতে হবে।’
পরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘সংসদ সদস্যের অধিকার খর্ব বা মানহানিকর কিছু হলে তিনি নোটিশ দিলে এটা বিবেচনা করা হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া চেষ্টা করা হবে।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :