শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা: জেলার দামুড়হুদা উপজেলার তারিনিপুর গ্রামের বেলী খাতুনকে (৩০) তার স্বামী মনিরুল ইসলাম হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে রোববার থানায় জিডি করা হয়েছে। মনিরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নওদাগাঁ গ্রামের মৃত-উম্বত আলীর ছেলে।
জানা যায়, বেলী খাতুনের (৩০) সাথে ১৫ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নওদাগাঁ গ্রামের মৃত-উম্বত আলীর ছেলে মনিরুল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
গত ৬ মাস আগে আমিরুল ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেই বেলীর সংসারে নেমে আসে অশান্তি । শুরু হয় বেলীর উপর শারিরিক এবং মানুষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে বেলী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বাবাকে সংবাদ দেয় তাকে নিয়ে আসার জন্য। মেয়ের সংবাদ পেয়ে পিতা আজিবার গত বুধবার গ্রামের চার-পাঁচ জন লোক নিয়ে মেয়েকে নিয়ে আসতে জামাই মনিরুল বাড়ি যায়।
তখন জামায় মনিরুল বলেন, বেলীতো এক সপ্তাহ আছে আপনাদের বাড়ী যাওয়ার নাম করে চলেগেছে। বেলীর বাবা আজিবার বেলিকে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়ি মেয়েকে খুজে বেড়ায়। কিন্তুু মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন পিতাসহ পরিবারের লোকজন।
পরে এলাকাবাসীর পরামর্শে আজিবার রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেছেন। তবে ঘটনার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত বেলীর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তার বাবা-মা সহ পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বেলীর পিতা আজিবার অভিযোগ করে বলেন, মনিরুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে আমার মেয়েকে হত্যা হরে লাশ গুম করে দিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোজাম্মেল হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানায় সাধারণ ডায়েরী হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ গৃহবধুর সন্ধানে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।সম্পাদনা: উমর ফারুক রকি