সান্দ্রা নন্দিনী : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিন যদি শান্তি আলোচনায় অংশ না নেয় তাহলে তাদের সহায়তা বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের ড্যাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে এ হুমকি দেন তিনি। ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমাগত ‘অসম্মান’ করার অভিযোগ এনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কেন ফিলিস্তিনের জন্য এতকিছু করতে যাব, যেখানে তাদের কাছ থেকে আমরা কিছুই পাচ্ছি না?’
প্রসঙ্গত, গতবছরের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির পর, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে দেশটির সাথে সব রকম আলোচনা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয় ফিলিস্তিন।
ড্যাভোস সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ফিলিস্তিনে হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার ত্রাণ ও সহায়তা পাঠায়। সমস্ত অর্থ টেবিলের ওপরই রাখা থাকলেও এর একটি পয়সাও ফিলিস্তিনে পৌঁছাবে না, যদি না তারা শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় মুখপাত্র নাবিল আবু রুদাইনেহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের হুমকির জবাবে বলেন, মার্কিন সহায়তা বন্ধের ভয়ে ইসরায়েলের সাথে কোনরকম আলোচনায় যাবে না ফিলিস্তিন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের এই হুমকি-ধামকির কৌশল ফিলিস্তিনের ওপর কার্যকর হবে না।’
রুদাইনেহ বলেন, জেরুজালেম একটি পবিত্র আলোচনার নাম। মূলত, এর ওপরই এই অঞ্চলটির যুদ্ধ ও শান্তি নির্ভর করে। তাই পৃথিবীর সকল অর্থ দিয়ে চেষ্টা করলেও জেরুজালেমকে কেনা বা বিক্রি করা যাবে না। আর তাই, যদি জেরুজালেম আলোচনার বাইরে থাকে তবে যুক্তরাষ্ট্রও এর বাইরেই থাক। বিবিসি, আল জাজিরা