রাশিদ রিয়াজ : ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজে বাংলাদেশের টাইগাররা শ্রীলংকার সাথে ফিরতি ম্যাচে টসে জিতে আগেভাগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ইনিংস খেলল, তাকে কি বলা যায়? পাতানো খেলা। ১০ উইকেটে হেরে যাওয়ার জন্যে এমন পাতানো ম্যাচ অবিশ্বাস্য! বরং টাইগারদের ব্যাটিং দেখে মাথা খারাপ হয়ে যাবার মত অবস্থায় পড়েই মনে হচ্ছে পাতানো খেলার কথা। এটা হচ্ছে অবোধ লোকের সহজ উত্তর। দায়সারা গোজের জবাব। কার হাসি কে হাসে! বরং বাংলা সিনেমার সেই বিখ্যাত ডায়লগ মনে পড়ে যায়, ‘ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে’। টাইগারদের নাড়ি নক্ষত্র চন্দ্রিকা হাথুরু সিংহে’র চেয়ে কে আর বেশি জানে?
আর যে মাপা লেন্থে শ্রীলঙ্কান বোলাররা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে একের পর এক বল করে গেলেন, তাতে সহজবোধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিষয়টি যে, হাথুরু সিংহে’র ক্লাস মনোযোগ দিয়েই করছেন তার সুবোধ শিষ্যরা। লঙ্কানরা অক্ষরে অক্ষরেই পালন করেছে হাথুরুর টিপস। আগামী বিশ্ব কাপ ক্রিকেটের আগে লঙ্কানরা তাদের ওস্তাদের কথা এভাবে শুনতে থাকলে এবং মাঠে তার প্রয়োগ ঘটাতে পারলে আমুল বদলে যাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল, এতে আর আশ্চর্য হওয়া কি আছে?
জিম্বাবুয়ের কাছে হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার বাংলাদেশের কাছে প্রথম ম্যাচে হারে ১৬৩ রানে। ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার থিসার পেরেরা হাথুরু সিংহে’কে সময় দিতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমার মনে হয় তাকে কোচ হিসেবে পাওয়া আমাদের বড় প্রাপ্তি। চন্দ্রিকা হাথুরু সিংহে বিশ্বের সেরা কোচদের একজন। ‘এ’ দলে থাকার সময় তার সঙ্গে কাজ করেছিলাম আমি। তবে তার সময় প্রয়োজন। সে তো মিরাকল ঘটাতে পারবে না। আমার মনে হয়, নতুন কোচের সঙ্গে আমাদেরও নিজেদের মেলে ধরতে হবে।
কিন্তু বেশি সময় যে হাথুরু সিংহে নিবেন না তা বাংলাদেশের ১০ উইকেটে হারের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেছে। টাইগারদের বরং কঠিন আত্মসমালোচনা প্রয়োজন। এ হার তাদেরকে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে আরো কঠিন চাপে ফেলবে সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে সেই চাপ কি সামাল দিতে পারবে টাইগাররা। না দিতে পারলে বিসিবি কি করবে? ফুটবল আর ক্রিকেটে বরাবরের মত কোচদের দোষারোপ করে কি পার পাওয়া যাবে?
আপনার মতামত লিখুন :