ফাহিম ফয়সাল : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, বরেণ্য সাংবাদিক প্রয়াত আলতাফ মাহমুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে তার কাজগুলি অনুস্বরণ করতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার হলরুমে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) আয়োজিত আলতাফ মাহমুদ স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও সাহসী কলমযোদ্ধা হিসেবে কাজ করে গেছেন আলতাফ মাহমুদ। তিনি অনেকবার বেকার হয়েছেন, আর্থিক সমস্যায় দিন কাটিয়েছেন কিন্তু নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দেননি বা কারও কাছে মাথা নত করেননি।
স্বরণসভায় বক্তারা বলেন, দেখা হলে আলতাফ মাহমুদই আগে সালাম দিতেন এবং কুশল বিনিময় করতেন। কারও বদনাম করতেন না, সুনাম ছাড়া কথা বলতেন না। তিনি কথা বলতেন কম, শুনতেন বেশি। যাকে ভালোবাসতেন তাকে মন থেকে ভালোবাসতেন, আর যাকে ঘৃণা করতেন তাকে মন থেকেই ঘৃণা করতেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিশ্বাস করতেন তিনি। নিজেদের স্বার্থে আলতাফ মাহমুদ সম্পর্কে জানা দরকার।
বক্তারা আরও বলেন, গভীর রাতেও সাংবাদিকদের দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছেন। কোনো সাংবাদিক অসুস্থ হয়েছে আর তাকে দেখতে হাসপাতালে যাননি এমন ঘটনা বিরল। তার শূন্যতা পূরণ হবার মতো নয়। তার অভাব আমরা পদে পদে অনুভব করছি। তার কীর্তি অপরিসীম, তার ক্ষয় নাই। তিনি বলতেন ইউনিয়নকে মসজিদ মন্দিরের মতো পবিত্র করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচনে তিনি কখনো নিজের জন্য ভোট চাননি। তিনি বলতেন যাকে আপনারা ভালো মনে করেন তাকেই ভোট দিবেন। তিনি ঢাকায় এসেছিলেন নায়ক হবার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের নায়ক হয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মন্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, যারা ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তারা আলতাফ মাহমুদের অনুসারি হতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, যারা আলতাফ মাহমুদের আদর্শ বিশ্বাস করে, তাদেরকেই ইউনিয়নের নির্বাচনে নির্বাচিত করতে হবে।
স্বরণ সভায় আলতাফ মাহমুদের ছেলে, ২ মেয়ে, ভাই, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।