প্রিন্স মাহামুদ আজিম : ৭২’র সংবিধান প্রণয়ন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সংবিধানের সত্তর অনুচ্ছেদ নিয়ে কোনও প্রকার বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ড. ইউনুস আলি আকন্দের বিতর্কমূলক ইস্যুকে সামনে আনা উচিত হয়নি। এই মামলা জনস্বার্থে নয় বরং তার ব্যক্তিগত স্বার্থে করা হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করাই এ মামলার মূল উদ্দেশ্য। টিভিএনএ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সংবিধানের সত্তর অনুচ্ছেদের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
এসময় তিনি বলেন, পিটিশন ২৪ নাম্বার প্যারায় ইউনুস আকন্দ উল্লেখ করেছেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছে। এর মাধ্যমে বুঝা যায় তিনি এই মামলাটি ব্যক্তিগত স্বার্থেই করেছেন।
মোতাহার হোসেন বলেন, সংবিধানের কোনও অনুচ্ছেদ আদালত আদেশ দিয়ে প্রণয়ন কিংবা বাতিল করতে পারেন না। আদালত শুধুমাত্র অনুচ্ছেদটি সংবিধানের পরিপন্থী কী না এইটুকু বলতে পারে। উল্লেখিত অনুচ্ছেদ সংবিধানের পরিপন্থী হলে সংসদ এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
হাইকোর্ট সত্তর অনুচ্ছেদের ব্যাপারে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তার মধ্যে কিছু বাতিল হয়েছে। আপিল ডিভিশন বলছে, স্বাধীন মতামত পেশ করার ক্ষেত্রে সত্তর (খ) অনুচ্ছেদ একটা অন্তরায়। তারপরও ৭০ অনুচ্ছেদ রাখার কারণ, ১৯৫৬ সালে সংবিধান প্রণয়ন হওয়ার পর দেখা যায়, তৎকালীন পার্লামেন্টগুলো খুব অল্প সময়ে ভেঙ্গে যেত। যাকে অনেক রাজনৈতিক দল সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ নিতেন। কিছু সংসদ সদস্যরা ভালো-মন্দের বিশ্লেষণ না করে অর্থের লোভে অন্য দলে যোগ দিতেন। সংসদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার সঠিক ব্যবহার ও দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করতেই সংবিধানে সত্তর অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে।