আনন্দ মোস্তফা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির পর থেকেই সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনে প্রতিদিনই চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দমাতে এবার ফেসবুক-ইউটিউব থেকে তথ্য নিচ্ছে ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনী।
২০১৭ সালে ফেসবুক পোস্টের কারণে ৩শ’রও বেশি ফিলিস্তিনির আটক হওয়ার ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
ইসরায়েলে নিযুক্ত ফেসবুকের নীতিনির্ধারণ ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান জর্ডানা কার্টলার সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা বিচার মন্ত্রণালয়ের সাইবার বিভাগ, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর অন্যান্য বিভাগ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ ইসরায়েলে ফেসবুকের নীতিমালা প্রধান শিন বেটের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
তবে, সামাজিক মাধ্যমগুলোর পোস্টের কারণে ফিলিস্তিনিদের সরাসরি গ্রেফতার, মামলা ও কারাদন্ড দেওয়াতেই থেমে থাকেনি ইসরায়েল। সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিকমাধ্যম ফেসবুককে তারা বাধ্য করেছে ‘ইসরায়েলবিরোধী’ যেকোনও পোস্ট, ভিডিও মুছে ফেলার এবং সংশ্লিষ্ট পেজ বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
বাণিজ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ফরচুন এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউব ইসরায়েলের অনুরোধের মুখে ফিলিস্তিনিদের কনটেন্ট মুছে ফেলার হার ৯৫ শতাংশ।’
২০১৭ সালেই ২০লাখ ফলোয়ারসহ আরবি ও ইংরেজি পেজের অন্তত ১০জন অ্যাডমিনের অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে ফেসবুক। এরমধ্যে ৭ জনের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বন্ধ করা হয় জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের কর্মী, সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার পেজ। মিডলইস্ট মনিটর