হ্যাপী আক্তার: আইসিবি’র প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। সরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু তহবিল থাকে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, আইসিবি’র কাছে। ২০১০ সালের ধসের পর ওই ফান্ডগুলো তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালে এসব ফান্ডের অংশবিশেষ তুলে নেওয়ার বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে।
ডিবিএ’র সভাপতি মোস্তাক সাদেক বলেছেন বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব সার্কুলার ব্যাংকে রেগুলেট করতে গিয়ে তাতে পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়ে যায় পুঁজিবাজারে। তিনি বলেন, আইসিবি অহেতুক একটি চাপ দিয়েছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে সিঙ্গেল অব এক্সপ্রোজারের নামে।
এতদিন পর হঠাৎ করে চলতি বছরের শুরুতে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে আইসিবি। ব্যাংকগুলোকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নিয়মিত শেয়ার বিক্রি করছে আইসিবি। এরই মধ্যে, প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার ঢালাও প্রভাব পড়েছে বাজারে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আহমেদ রশীদ লালী বলেছেন, একটা বিক্রির চাপ পুঁজিবাজারে এসেছে। যার ফলে, লাভ করেছেন প্রায় দুই-তিনশ হাজার কোটি টাকা কিন্তু পুঁজিবাজারটিকে একটা চাপের মুখে নিয়ে এসেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণের চাহিদা মেটাতে অনেক বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাতের বিতরণ করা ঋণের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো সার্কুলার দেওয়ার আগে বিএসইসির প্রস্তাবনা বিবেচনায় নেয়ার কথা থাকলেও তা নেওয়া হচ্ছে না। এবার পুঁজিবাজারের দিকে নজর রেখে নতুন মুদ্রানীতি আশা করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।
সূত্র: ডিবিসি নিউজ