হ্যাপী আক্তার : হরিণ ও রয়েলবেঙ্গল টাইগারসহ বন্য প্রাণীর শিকারের মহাউৎসব চলতো সুন্দরবনে। তবে দস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বনকে অনেকাংশে নিরাপদ করা গেছে বলে মনে করছেন বন কর্মকর্তারা। গবেষকরা মনে করছেন দস্যুদের কারণেই ভারসাম্য নষ্ট হতে চলেছিল সুন্দরবনের ইকোসিস্টেমের। তাই বন বিভাগকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার পরামর্শ তাদের।
সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম এক নিদর্শন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটারের সবুজ ভূমি সুন্দরবন। প্রাকৃতিক রুক্ষতা থেকে অনেকাংশে আগলে রেখেছে উপকূলের অঞ্চলগুলোকে। সুন্দরবনের গাছ আর জলের ওপর নির্ভর প্রায় ২৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা। সুন্দরবনের নদীতে প্রায় ৫’শ প্রজাতির মাছ ও বন্য প্রাণীর ধ্বংসে মেতে উঠতো এক শ্রেণীর মানুষ। যাদের শিকারে কমছে বাঘ, হরিণসহ নানা বন্য প্রাণী, আর নষ্ট হচ্ছিল ভারসাম্য। সুন্দরবন ধ্বংসের প্রথম অভিযুক্তরা জলদস্যুরা।
বন গবেষক নাজমুস সাদাত বলেছেন, জলদস্যুরা যখন যেখানে যায় তারা সে অঞ্চলের বনাঞ্চল ধ্বংস করে। জলদস্যুরা ও অন্যান্য বন্য প্রাণী মারার চেষ্টা করে। যার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। আর পরিবেশ নষ্ট হলে, সুন্দরবনের ইকোসিস্টেমের সামগ্রীক ভারসাম্য নষ্ট হবে।
তিনি আরো বলেন, দস্যুদের সামাজিকভাবে ফিরিয়ে আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে র্যাব ও অন্যান্য সে সকল কর্মকর্তারা আছেন তাদের সাথে সমুন্নত একটি পদক্ষেপ নিতে হবে বন বিভাগকে। তবে বন বিভাগকেই এগিয়ে আসতে হবে।
সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেছেন, বন্য প্রাণী পাচারের ক্ষেত্রে জলদস্যুরা একটি সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। জলদস্যুরা না থাকার কারণে বর্তমানে বন অনেকাংশে নিরাপদ। যার কারণে বাঘ ও হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। জলদস্যুদের শুধু আত্বসমর্পণ নয়, তাদের পুনর্বাসনসহ প্রয়োজন সরকারি সহযোগীতা দিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
শুধু দস্যুরা নয় কাঠ পাচার ও শিকারিদের বিরুদ্ধে সমুন্নত পদক্ষেপ দিতে প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : যমুনা টিভি