শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৩৯ সকাল
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরা থেকে ধানমন্ডি, যানজটে সাত ঘণ্টা!

জ. ই. মামুন : ঢাকা শহর প্রতিনিয়ত মরে যাচ্ছে। যে শহর নড়ে না চড়ে না, চলে না বলে না- তাকে মৃত না বলে উপায় কি! গিয়েছিলাম উত্তরার দিয়াবাড়ি, বিআরটিএ অফিসে, গাড়ির বাৎসরিক ট্যাক্স আর ফিটনেসের টাকা জমা দিয়ে কাগজ সংগ্রহ করতে। যাওয়ার সময় সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। কাজ শেষ করে দেড়টা দুইটার দিকে বের হয়ে অফিসে ফিরতে গিয়েই বাঁধল বিপত্তি। দিয়াবাড়ি থেকে এক দেড় কিলোমিটার মাস্কাট প্লাজা, এয়ারপোর্ট রোড। ওইটুকু পথ আসতেই লাগল এক ঘণ্টা। মেইন রোডে উঠে গাড়ি আর চলেই না। বাসের যাত্রীরা বাক্স পেটরা নিয়ে হেঁটেই এগোচ্ছেন গন্তব্যের দিকে। প্রাইভেট কারের যাত্রী আমার সেই সুযোগ নেই। আমি অপেক্ষা করি।

জানা গেল, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় আগত একজন মাওলানার বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে তার বিরুদ্ধবাদী তথাকথিত আলেম ওলামাগণ বিমানবন্দরের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আর তার ফল গিয়ে পড়েছে লাখ লাখ যাত্রীর মাথায়। টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ থেকে শুরু করে উত্তরাঞ্চলের বগুড়া রাজশাহী থেকে আসা বাসও দেখেছি আটকা পড়েছে হুজুরদের সৃষ্ট সেই যানজটে।সময় শেষ হয়, ধৈর্য্য শেষ হয় কিন্তু অপেক্ষা শেষ হয় না। অগত্যা ঘণ্টাখানেক এক জায়গায় বসে থেকে আশুলিয়া মিরপুর বেরিবাঁধ ধরে ফেরার চেষ্টা। কিন্তু ওখান থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দিয়াবাড়ি এবং সম্প্রসারিত উত্তরা আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে বেরিবাঁধে উঠতেই লেগে যায় আরও ঘণ্টা দুয়েক। পথ কমে মোটে ২/৩ কিলোমিটার। ওই পথেও দূরাগত বাস ট্রাক, কার, রিকশার দীর্ঘ জটলা।

ততক্ষণে ডুবে যায় পৌষের ম্লান সূর্য। শীত জেঁকে বসে পথে, সাথে বালু আর ধুলো। বাসের যাত্রীরা তারই মধ্যে নেমে হাঁটা শুরু করেন। নারী পুরুষ শিশু। যেন আরেক শরণার্থী দল! আমরা সবাই যেন উদ্বাস্তু উন্মুল রোহিঙ্গা শরণার্থী। শীত রাতের অন্ধকারে এই কাফেলা আমাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায়। আর আমি যতদূর চোখ যায়, অন্ধকারে দেখি, জোনাকির মতো দূরাগত গাড়ির হেডলাইট।বর্ণনা আলস্য লাগে। সেই পথ, যেন সত্যিই শ্লথ কচ্ছপ হয়ে পড়ে থাকে আমাদের সামনে। আমরা সেই কচ্ছপের পিঠে সওয়ার হয়ে পার করি এক লম্বা শীতের রাত।

দুপুর দুটোর দিকে রওয়ানা দিয়ে আমি যখন বাড়িতে এসে পৌঁছাই, রাত তখন প্রায় নয়টা। রাত নয়টায় এসে খেলাম দুপুরের ভাত। এরই মধ্যে আমাকে বাতিল করতে হয়েছে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান, একটি মিটিং এবং একটি সামাজিক সমাবেশ। আমার ড্রাইভার বলে, এতক্ষণে তো চট্টগ্রাম থেকে চলে আসা যায়!
এই শহরের ভবিষ্যৎ কি সন্ধ্যার এই সূর্যের মতোই অস্তগামী?
পরিচিতি : প্রধান নির্বাহী সম্পাদক, এটিএনবাংলা/ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়