শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ১০:১৭ দুপুর
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ১০:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিকাশের অবৈধ অর্থ লেনদেন; তদন্তে সিআইডি

ফারমিনা তাসলিম : বিকাশে অবৈধ অর্থ লেনদেন বা হুন্ডির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে সিআইডি।

এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সিআইডিকে অনুমোদন দিয়েছে। সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে অবস্থানরত এবং মাদক চোরাকারবারিরাও বিকাশে অর্থ লেনদেন করছে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের অতি সাধারণ মানুষও যখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভর করতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই প্রশ্নবিদ্ধ বিকাশের ২ হাজার ৮৮৭ এজেন্টের কার্যক্রম।

লেনদেনের তথ্য সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এদের বিরদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সিআইডির কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, বিকাশে অসাধু এজেন্ট বা বিকাশের অনেক এজেন্ট এর সাথে জড়িত থাকতে পারে। তাদের মাধ্যমে এক ধরনের অসাধু কাজ চলছে।

টেকনাফের কোন এজেন্টের কাছ থেকে কেউ টাকা পাচ্ছে তা দিচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা বা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা পাঠানো হচ্ছে।

তদন্তের প্রথম ধাপে ঢাকায় একটি ও সারা দেশে অতি সন্দেহভাজন ২৫টি একাউন্ট চিহ্নিত করেছে সিআইডি। হুন্ডি ও মাদকের অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এরই মধ্যে সাত এজেন্ট গ্রেপ্তার ও আট এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অসাধু এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দুর্বলতা দূর করে একে আরো বিস্তৃত করতে হবে।

ড. আতিউর রহমান বলেন, মুষ্টিময় অসাধু মানুষের কারণে কোটি কোটি মানুষ যে লাভটা পাচ্ছে, সেটা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তবে অসাধুদের বেলায় কোনরকম ছাড় দেয়া উচিত না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ লেনদেনে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিকাশ এজেন্টের সামনে উপস্থিত হতে হবে। সিআইডি বলেছে, এ শর্ত মানছে না বেশিরভাগ এজেন্ট।

বিকাশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিয়মের বাইরে লেনদেনকারী এজেন্টদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে তারা তৎপর।

বিকাশের সিইএও বলেন, বিকাশ এজেন্টের সবাই জড়িত থাকে না। বিষয়টা সন্দেহজনক হলে সেটা তদন্ত করে বিচার করে পরে সিআইডিকে জানা হয়।

দ্রুত অনিয়ম দূর করে অর্থ লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সার্ভিস চার্জ কমানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

সূত্র - ইনডিপেনডেন্ট টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়