শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৩৬ সকাল
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আইসিসির বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার এলিস পেরি

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০০৬ সাল থেকে বর্ষসেরা পুরস্কার দিয়ে আসছে আইসিসি। এ বছরের আইসিসি বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কারটা নিজের করে নিলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার এলিস পেরি। দীর্ঘ এক দশক ধরে দলে অনবদ্য অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সের জন্য ক্রিকেট জগতের সম্মানজনক এ পুরস্কার পেয়েছেন গত বছরের ব্যালিন্ডা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড জয়ী এ অস্ট্রেলিয়ান তারকা।

গত বছর দিবারাত্রির ওভাল টেস্টে অপরাজিত ২১৩ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান ২৭ বছর বয়সী এ নারী ক্রিকেটার। তার সেই অপরাজিত ২১৩ রানের ইনিংসটি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে যে কোন নারী ক্রিকেটারের করা সর্বোচ্চ স্কোর। শুধু তাই নয়, ওই বছর খেলা ১৯টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৯০৫ রানের পাশাপাশি ২২ উইকেট নেন সব চেয় কম বয়সী অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটার হিসেবে অভিষিক্ত এলিস।

গত ২০০৬ সালের জুলাইয়ে প্রথম ম্যাচেই নিজের দুর্দান্ত আগমন ধ্বনি ঘোষণা করেন সে সময়ের সতেরো ছুঁইছুই কিশোরী এলিস। সেদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট।

তারপর শুধুই ধারাবাহিক সাফল্যের ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে খেলেছেন ২০০৯ সালের আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ও আইসিসি নারী বিশ্ব টি-টোয়েন্টি কাপ। ২০১০ সালে অস্ট্রেয়িলার আইসিসি বিশ্ব টি-টোয়েন্টি কাপ জয়ের মূলে ছিলো এলিসের দুর্দান্ত বোলিং পারফরমেন্স। ২০১৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি নারী বিশ্বকাপ জয়েও ছিল এলিসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ফাইনালে অ্যাংকেল ইনজুরির মধ্যেও ১৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এছাড়া ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৫ এর অ্যাশেজ জয়ও আসে তার হাত ধরে।

শুধু রেকর্ড দিয়ে বিবেচনা করলে এলিস পেরির খোলোয়াড় জীবনের বৈচিত্র ধরা সম্ভব নয়। এলিস পেরি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের একমাত্র নারী খেলোয়াড় যিনি একই সঙ্গে ক্রিকেট ও ফুটবল বিশ্বকাপ খেলেছেন।

নিজের এই স্বীকৃতি প্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে এলিস ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। তারা নারী ক্রিকেট দলকে অবিশ্বাস্যরকম সহযোগিতা করেছে যা অস্ট্রেলিয়ার নারী খেলোয়াড়দের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখছে।’

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ জেমস স্যাটারল্যান্ড এলিসকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ক্যারিয়ারের দশম মৌসুমে এটা এলিসের জন্য এক অসাধারণ স্বীকৃতি। এটা মোটেও আশ্চর্যের বিষয় নয় যে এলিসের মতো খেলোয়াড় রিচেলের সম্মানে দেয়া পুরস্কার অর্জন করেছে।

আইসিসি নারী অ্যাওয়ার্ড ২০১৭:

আইসিসি বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার: এলিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া)
আইসিসি বর্ষসেরা নারী ওডিআই ক্রিকেটার: অ্যামি স্যাটার্টওয়ের্থ (নিউজিল্যান্ড)
আইসিসি বর্ষসেরা নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার: বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া)
আইসিসি বর্ষসেরা নারী উদিয়মান ক্রিকেটার: বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া) ইএসপিএন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়