শিরোনাম
◈ ইরানের প্রতি পাকিস্তানের পূর্ণ সমর্থন ◈ বৃহৎ ইসলামি জোট শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে কি? ◈ মোসাদের দুঃসাহসিক অভিযান: ২৭ সিন্দুক পরমাণু নথি চুরি ও বিজ্ঞানীদের গুপ্তহত্যার বিস্ময়কর ইতিহাস ◈ সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতা বাড়াতে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ◈ ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক নিয়ে নতুন রাজনীতি, বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো ◈ অ‌স্ট্রেলিয়া‌কে হারি‌য়ে টেস্ট চ‌্যা‌ম্পিয়ন‌শি‌পের শি‌রোপা জিত‌লো দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকা ◈ ট্রফি থেকে প‌তৌ‌দির নাম মুছে ফেলায় মনকষ্ট বি‌সি‌সিআইর, সম্মানরক্ষায় ইংল্যান্ড বোর্ডকে অনু‌রোধ ◈ গভর্নরের লন্ডন সফরে কী পেলো বাংলাদেশ, যা জানাগেল ◈ মে‌রি‌লি‌বোন ক্রিকেট ক্লাব বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচের নিয়মে যে পরিবর্তন আন‌তে যা‌চ্ছে ◈ কোচ কাবরেরার উপর গরম দেখা‌লেন বাফু‌ফে সদস‌্য, চাই‌লেন তার পদত্যাগ, বিব্রত সভাপ‌তি

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩২ সকাল
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এগিয়ে যাচ্ছে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের গবেষণা

ফারমিনা তাসলিম: বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে কোনো তলদেশ নেই- এমনটাই বলা হয় । কিন্তু সাগরের তলদেশে পানির গভীরতাও এখন মাপা যাচ্ছে। তিমি, হাঙ্গর ছাড়াও দামী সামুদ্রিক সম্পদের বিশাল মজুদ সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌবাহিনীর সহায়তায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।

সাগরের নীল জলে ঝাঁকে ঝাঁকে ডলফিন ছুটে চলার এ অনাবিল সৌন্দর্য্যের দেখা মিলবে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে মংলা বন্দরের প্রায় দু’শ মাইল দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে।

বিশাল আকারের ইরাবতী ডলফিন, ইন্দো প্যাসিফিক ডলফিন ও পাখনাহীন ইমপ্লাইস ডলফিনের পাশাপাশি ভেসে ওঠে তিমি-হাঙ্গরও। আর সোয়াচ যেন মাছের খনি।

গবেষকদের মতে, ডলফিন ও তিমির মতো বড় সামুদ্রিক প্রাণীর প্রজনন কেন্দ্র- সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড। নানা জাতের কাছিম এবং কাকড়াও এখানে আসে ডিম ছাড়তে।

ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক ড. আনিসুজ্জামান খান বলেন, কিছু তিমি স্থায়ীভাবে বঙ্গোপসাগরে থাকে। এছাড়া মাইগ্রেটারিভাবে কিছু অল্প সময়ের জন্য আসে। এবার আমরা দুই প্রজাতির তিমি দেখেছি এবং সংখ্যায় সেটি ৭টির মতো।

গুরুত্ব ও গভীরতা বিবেচনায় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয় ব্রিটিশ শাসনামলে। এটি বিশ্বের ১১টি গভীরতম গিরিখাতের একটি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি মূলত সামুদ্রিক অভয়াশ্রম।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য গবেষক মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, বঙ্গোপসাগরে তিনটা ট্রল করা হয়েছে। এ তিনটা ট্রলের মধ্যে বেশকিছু মাছ আমাদের আগের তালিকায় ছিল না। আমরা সে রকম কিছু মাছ পেয়েছি।

গত মার্চ ও নভেম্বরে সোয়াচে দুই দফায় গবেষণা চালায় ইসাবেলা ফাউন্ডেশন, এ কাজে বিশেষায়িত জরিপ জাহাজ মীন সন্ধানীর সহায়তা নেন ৪০ গবেষক।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ার বলেন, মাছ এবং অন্যান্য নমুনাগুলো আমরা সব সংগ্রহ করেছি। আর ল্যাবে পরীক্ষা চালাচ্ছি।

তলাবিহীন সোয়াচে পানির গভীরতা প্রায় সাড়ে সাত শ মিটার বা আড়াই হাজার ফুট নিশ্চিত হয়েছেন গবেষকরা।

বিশ্বের অন্যান্য দেশ সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহার করে অর্থনৈতিক উন্নতির সাফল্যে পেলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। তাই সমুদ্র সম্পদের যাচাই ও সঠিক ব্যবহার করার তাগিদ দিচ্ছে গবেষকরা।

সূত্র - ইনডিপেনডেন্ট টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়