গত দুই দশকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সূচকে বাংলাদেশ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ আর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলেও আভাস দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস, জুন ২০২৫‘ শীর্ষক প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫) প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে যা মূলত ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতারকে প্রতিফলিত করে। বর্ধিত অনিশ্চয়তা এবং বর্ধিত উপকরণ ব্যয় বেসরকারি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করেছে, অন্যদিকে মূলধনী পণ্যের আমদানিতে ধীরগতির কারণে শিল্প উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪.৯ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫.৭ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উন্নতি, ব্যবসা পরিবেশ শক্তিশালীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সংস্কারের সফল বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রেমিট্যান্সের স্থিতিশীল প্রবাহ এবং মুদ্রাস্ফীতি কমে আসার কারণে বেসরকারি ভোগ ব্যয় শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ বাণিজ্য বাধার কারণে রপ্তানি কার্যক্রমে মন্দা দেখা যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে জানায়, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি ভারতের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমেছে। যা মূলত চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগে মন্দা এবং সরবরাহের দিক থেকে শিল্প উৎপাদনে গতিকে প্রতিফলিত করে। তবে নির্মাণ ও পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল ছিল এবং গ্রামীণ এলাকার শক্তিশালী চাহিদার কারণে কৃষি উৎপাদন পূর্বের তীব্র খরা পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধার হয়েছে। ভারত বাদে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রবৃদ্ধি সাধারণত স্থিতিশীল হয়েছে। উৎস: চ্যানেল আই।