শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট: মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৫ জনের ◈ ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: সামরিক সক্ষমতায় কে এগিয়ে ◈ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে কোনো জটিলতা নেই: ড. খলিলুর রহমান ◈ ‘সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচনের আগেও পরেও অব্যাহত থাকবে’— আমীর খসরু ◈ রোজার আগেই ভোট চায় বিএনপি, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ‘সম্ভব’ বললেন প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ আম্মা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন: প্রধান উপদেষ্টাকে তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ 'ঘেউ ঘেউ করার জন্য পুরা ইউরোপে মাত্র ২০টা লোক পাইলো!’ শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস ◈ লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক শুরু ◈ পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংসে ইসরায়েলি অভিযান: ইরানের ৬ পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৫, ০৭:৪৭ বিকাল
আপডেট : ১৩ জুন, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের পাইলটের করা ‘মে ডে কল’ আসলে কী, কে পাঠায়

ভারতের আহমেদাবাদ থেকে আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে। বিমানে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। আজ বেলা ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে বিমানটি উড্ডয়নের পর তা ওপরের দিকে উঠতে ব্যর্থ হয় এবং দ্রুত নিচে নেমে আসে। এরপরই এটি বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ আগুনে পরিণত হয়।

দুর্ঘটনার আগে পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল বিমান নিয়ন্ত্রণ কক্ষে একটি ‘মে ডে’ সংকেত পাঠান। ভারতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগমুহূর্তে পাইলট এই বিপদসংকেত পাঠান।

‘মে ডে কল’ আসলে কী

‘মে ডে’ হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিপদসংকেত, যা বিমান বা কোনো নৌযান মারাত্মক বিপদের মুখোমুখি হলে ব্যবহার করা হয়। এটি এসেছে একটি ফরাসি শব্দ (এম’এইডার) থেকে, যার অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। ১৯২০-এর দশকে প্রথম চালু হওয়া এই সংকেত এখন বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত একটি প্রোটোকল। সংকেতটি তিনবার বলা হয়—মে ডে মে ডে মে ডে। এমনটি করা হয় যেন অন্য সব রেডিওবার্তার ভিড়ে এটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।

‘মে ডে কল’ কে পাঠায়

সাধারণত কোনো যানের নিয়ন্ত্রক, অর্থাৎ বিমানের ক্ষেত্রে পাইলট অথবা জাহাজের ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেন মারাত্মক বিপদের মুখোমুখি হলে সংকেতটি পাঠান। যেমন—ইঞ্জিন বিকল হওয়া, বিমানে আগুন লাগা, নিয়ন্ত্রণ হারানো কিংবা যেকোনো জীবন সংকটময় পরিস্থিতিতে ‘মে ডে কল’ পাঠানো হয়।

একবার ‘মে ডে’ ঘোষণা করা হলে সংশ্লিষ্ট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিপদের বার্তাটি অগ্রাধিকার পায়। পাইলট বা ক্যাপ্টেন তখন তাঁদের অবস্থান, বিপদের ধরন ও প্রয়োজনীয় তথ্য জানান। এরপর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা জরুরি সেবা সংস্থাগুলো উদ্ধার ও সহায়তা প্রক্রিয়া শুরু করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়