মুফতি আবদুল্লাহ তামিম: মহান আল্লাহ যত মহান তার কালাম তথা কুরআনও তত মহান। আর এই কুরআন হিফজ করার মর্যাদা ও অনকে অনেক বেশি। হাফেজ হওয়ার কারনে তাকে সব সময় কুরআন চর্চা করতে হয়, এতে সে প্রতি হরফে ১০ নেকী করে পেয়ে থাকে। এভাবে সাধারন মানুষ হতে নেকী অর্জনের ক্ষেত্রে সে থাকে অগ্রগামী। কেয়ামাতের দিনও একজন হাফেজে কুরাআন বাড়তী মর্যাদা পেয়ে থাকবেন একজন সাধারন মানুষ হতে। আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কুরআন মজিদে দক্ষ ব্যক্তি (আখেরাতে) সম্মানিত নেককার লিপিকার ফেরেশতাদের সাথে থাকবে। যে ব্যক্তি ঠেকে ঠেকে কষ্ট করে কুরআন পড়ে সে দু’টি পুরষ্কার পাবে। (বোখারী-৪৯৩৭,মুসলীম-৭৮৯) আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণীত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোরআনের বাহককে জান্নাতে প্রবেশকালে বলা হবে, তুমি পাঠ করতে থাকো এবং উপরে আহরন করতে থাকো। অত:পর সে পড়তে থাকবে এবং প্রতিটি আয়াত পড়ার সাথে সাথে একটি স্তর অতিক্রম করবে। এভাবে সে তার জ্ঞাত শেষ আয়াতটি পর্যন্ত পড়বে। (আবু দাউদ-১৩১৭,আহমাদ-১০৯৬৮)
উপরোক্ত হাদীস পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, কোরআনের হাফেজ আখেরাতে ফেরেশতাদের সাথে অবস্থান করবে। তিনি যদি জান্নাত বাসী হতে পারেন তবে জান্নাতে প্রবেশের পর কোরআন হিফজের বদৌলতে জান্নাতের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে উপরে দিকে উঠবেন তার মুখস্থ থাকা শেষ আয়াতটি পড়া পর্যন্ত। হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত ও মুখস্থ রেখেছে এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনেছে। তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশজন লোক সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করবেন যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম আবশ্যক ছিলো। (তিরমিযী-২৯০৫,আহমাদ-১২৭১, মিশকাত-২১৪১)