শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:০১ সকাল
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে যা যা থাকছে

জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: দেশে এই প্রথম যাত্রা শুরু করছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি আইটি পার্কে’টি ভারতের বেঙ্গালুরু এবং আমেরিকার সিলিকন ভ্যালির আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে কম্পিউটারের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং, কল সেন্টার ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের আইটি (তথ্যপ্রযুক্তি) শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে।

এই প্রকল্পের মূল ভবন ভ‚মিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট কাঠামোতে (স্টিল ও কংক্রিট) নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটিতে ১২ তলাবিশিষ্ট স্টিল স্ট্রাকচারের ডরমেটরি ও ১৫ তলা বিশিষ্ট স্টিল স্ট্রাকচারের এমটিবি ভবন রয়েছে। এ ছাড়া আছে ফাইবার অপটিক কানেক্টিভিটি। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সাপ্লাইয়ের জন্য ৩৩ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়েছে এবং রাখা হয়েছে দুই হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর।

দেশের আইটি খাতকে সমৃদ্ধ ও এ খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ স্থাপন  করেছেন সরকার। এ ক্ষেত্রে যশোর এলাকায় আইটি সফটওয়্যার-সংক্রান্ত জ্ঞানভিত্তিক শিল্প স্থাপনসহ নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আইটি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যশোরে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি, আইসিটি, ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং খাতের সম্ভাবনার দ্বার আরও প্রসারিত হবে।

শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পাক প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, ৩শ’ ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সস্বলিত এই পার্কে দেশি-বিদেশি অর্ধশত আইটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করবে। এরই মধ্যে ৩টি জাপানি প্রতিষ্ঠানসহ ১৩ বিদেশি আইটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল যশোর শহরে নাজের শংকরপুরে ১৩ একর জমির উপরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ফ্রিল্যান্সিংসহ ৪টি ক্ষেত্রে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে ২০ হাজার তরুণ-তরুণী।পার্কটি সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত।

প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, গবেষণা ও প্রযুক্তি পণ্য উদ্বাধোনের জন্য পার্কে রয়েছে সাইবার অপটিকস কানেকটিভিটি। ইতিমধ্যে আমরা ৫৫টি কোম্পানিকে বরাদ্দ দিয়েছি। তাছাড়া ৪টি কোম্পনি সরেজমিনে কাজ করছে। এবং আরও প্রায় ১০টি কোম্পানি ইনটোরিয়র ডেকোরেশন শুরু করেছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধে কম্পোজিট কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি।

প্রযুক্তিখাতে আগামী ৫ বছরে ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় সরকার।  সূত্র- ডিবিসি নিউজ, যমুনা টিভি

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়