ইমরুল শাহেদ: [২] ২০০ বছর পরে এই গ্রহাণুই আছড়ে পড়বে পৃথিবীর বুকে। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে অ্যাস্টেরয়েড-বেল্টে থাকা রহস্যময় গ্রহাণু বেন্নুতেই একসময় পানির খোঁজ পেয়েছিল নাসা। তার বুকে নেমে অস্থি-মজ্জার খোঁজ করার মিশন তৈরি হয়েছিল সে দিনই। প্রথমবার কোনও গ্রহাণুর পিঠে নেমে তার থেকে নুড়ি-পাথর কুড়িয়ে আনার এই দুঃসাহসিক পরিকল্পনা ছিল নাসারই। সেই অভিযানই সফল হল। বেন্নুতে অবতরণ করে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ওসিরিস-রেক্স ফিরে আসছে নাসা। সূত্র: দি ওয়াল
[৩] সাত বছরের সফর শেষ করে বেন্নু জয় করেছে নাসার মহাকাশযান ‘ওসিরিস-রেক্স’। প্রথম থেকেই ‘ওসিরিস-রেক্স’-এর টার্গেট ছিল বেন্নু। সেই টার্গেট সফল হয়েছে। ওই গ্রহাণু থেকে এক টুকরো পাথর তুলে নিয়েছে যানটি। সব কিছু ঠিক থাকলে ২৪ সেপ্টেম্বরই তার পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা।
[৪] নাসা জানিয়েছে, চূড়ান্ত টাচডাউনের সময় হল ১৩ মিনিট। ওই সময়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশযানটি প্রায় ২৭,০০০ মাইল (৪৩,০০০ কিলোমিটার) প্রতি ঘণ্টা বেগে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট (২৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় পৌঁছাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সফট ল্যান্ডিং সম্ভব।
[৫] ‘ওসিরিক্স রেক্স’- নাসার এই মহাকাশযানকে বেন্নুর পাড়ায় পাঠানো হয়েছিল ২০১৬ সালেই। এতদিন গ্রহাণু চারদিকে চক্কর দিয়ে তার হাল হকিকত বুঝেছে এই মহাকাশযান। দফায় দফায় ছবি পাঠিয়েছে পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনে। রুক্ষ, বন্ধুর, এবড়ো খেবড়ো বেন্নুর পিঠে গতিবেগ সামলে অবতরণ করা ছিল একপ্রকার অসম্ভব ব্যপার। অজানা গ্রহাণুর বুকে বিপদের সম্ভাবনাও ছিল। মহাজাগতিক রশ্মি, ধূমকেতু, উল্কা প্রায়ই আছড়ে পড়ে বেন্নুতে। তার আকারও যে খুব বড় এমনটা নয়। তাই সবমিলিয়ে চিন্তা একটা ছিলই। কিন্তু সেসব বিপদ কাটিয়ে নাসার মহাকাশযান অসাধ্য সাধন করেছে।
আইএস/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :