ইমরুল শাহেদ: নাসার অধীন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন অ্যাক্সিওমে নভোচারীরা এখন স্পেসস্যুট পরে অভ্যাস করছেন। হাল্কা, আরামদায়ক স্পেসস্যুট তৈরি হয়েছে তাদের জন্য। আর্টেমিসের জন্য স্পেসস্যুট, জুতো ইত্যাদি পরিয়ে নভোচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দি ওয়াল
মহাকাশে ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের ঘড়িও লাগে। ‘ওমেগা স্পিডমাস্টার প্রফেশনাল’ হাতঘড়িই বেশি পছন্দ নাসার। স্পেস শাটল মিশনের সময় ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের হাতঘড়ি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিশনের পাঁচটি ভাগ রয়েছে, যার মধ্যে মানুষ নিয়ে চাঁদে ল্যান্ড করার পরিকল্পনাও আছে। আর্টেমিস-৩ মিশনে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ-দু’জন নভোচারী নিয়ে চাঁদে যাবে নাসার রকেট। চাঁদে কী পরে যাবেন নভোচারীরা প্রথমবারের মতো সে ছবি সামনে আনল নাসা।
১৯৬৯ সালে ‘অ্যাপলো ১১’-এ প্রথম চাঁদের মাটিতে পা রাখেন দুই মার্কিন মহাকাশচারি নীল আর্মস্ট্রং এবং এডুইন অলড্রিন। একটি ব্যাগে চাঁদের মাটি এবং পাথর ভরে এনেছিলেন তারা। নীল আর্মস্ট্রংয়ের সেই স্পেসস্যুটের মতোই কি নতুন স্পেসস্যুট বানানো হয়েছে? নাসা এখনও সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
চাঁদের কক্ষপথে প্রথম ‘লুনার স্পেস স্টেশন’ বানাচ্ছে নাসা। এই প্রকল্পের নাম ‘গেটওয়ে টু মুন’ বা ‘আর্টেমিস’। পৃথিবীর জোরালো অভিকর্ষজ বলের মায়া কাটিয়ে মহাকাশযানকে চাঁদে পাঠানোর ঝক্কি অনেক। কাজেই লুনার স্পেস স্টেশন হলে সেখানে বসেই গবেষণা চালানো যাবে। আবার মহাকাশযান বানিয়ে যখন তখন পাঠিয়ে দেওয়া যাবে মহাকাশে।
চাঁদে যখন তখন পাড়ি দেওয়ার জন্য স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেট বানিয়েছে নাসা। এই প্রোগ্রামের ম্যানেজার জন হানিকাট বলেছেন, আর্টেমিস-১ মিশনের পর থেকে পরবর্তী সবকটি মিশনই খুব জটিল হবে। চাঁদে মানুষ নিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনা আছে। সেটা হল আর্টেমিস-৩ মিশন। লুনার স্টেশনের কাজও শেষ করতে হবে। তাই এমন রকেট দরকার ছিল যা উন্নত প্রযুক্তির এবং শক্তিশালী হবে। সে জন্যই এসএলএস রকেট তৈরি করা হয়েছে। এর আরএস-২৫ ইঞ্জিন প্রচুর পরিমাণ শক্তি তৈরি করবে। খুব কম সময় চাঁদ বা অন্যান্য মহাকাশ অভিযানে পাড়ি দিতে পারবেন নভোচারীরা।
৫৫ বছর আগে নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স আর এডুইন (বাজ) অলড্রিনের মতো খুব অল্প সময়ের জন্য এ বার চাঁদের বুকে পা পড়বে না মানুষের। হয়ত টানা এক সপ্তাহের জন্য চাঁদের বুকে গবেষণা চালাবেন নভোচারীরা।
আইএস/একে
আপনার মতামত লিখুন :