সঞ্চয় বিশ্বাস: এবার প্রথম বারের মতো ওয়াশিংটনের আকাশে উড়লো বিদ্যুৎচালিত যাত্রীবাহী প্লেন। উদ্বোধনী ফ্লাইটে টানা আট মিনিট আকাশে উড়েছে বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত যাত্রীবাহী প্লেন ‘অ্যালিস’। ব্যাটারিতে শতভাগ চার্জ থাকলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮৭ মাইল গতিতে ৪৪০ নটিক্যাল মাইল উড়তে পারবে অ্যালিস। ২০২৭ সাল নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে এ উড়োজাহাজ বিক্রির পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন এর নির্মাতারা।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের গ্র্যান্ট কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে উদ্বোধনী যাত্রায় ওড়ে অ্যালিস। আট মিনিটের ফ্লাইটে প্লেনটি তিন হাজার পাঁচশ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছিল বলে জানিয়েছে সিএনএন।
অ্যালিসের উদ্বোধনী ফ্লাইটকে ‘ঐতিহাসিক’ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে ইসরায়েলি নির্মাতা কোম্পানি ‘ইভিয়েশন এয়ারক্র্যাফট’-এর প্রধান নির্বাহী গ্রেগরি ডেভিস বলেন, “পিস্টন ইঞ্জিন থেকে টার্বাইন ইঞ্জিনে যাওয়ার পর উড়োজাহাজের প্রোপালশন প্রযুক্তিতে কোনো পরিবর্তন দেখিনি আমরা। সেটাও ছিল ১৯৫০-এর দশকের ঘটনা এবং সেবারই এমন আনকোড়া নতুন কোনো প্রযুক্তিকে আমরা এভাবে কার্যকর হতে দেখেছিলাম।”
সিএনএন জানিয়েছে, অ্যালিসের ব্যাটারি প্রযুক্তি বিদ্যুৎচালিত গাড়ির মতই; ৩০ মিনিটের চার্জে নয়জন যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারবে প্লেনটি। আর ব্যাটারিতে শতভাগ চার্জ থাকলে ঘণ্টায় ২৮৭ মাইল গতিতে ৪৪০ নটিক্যাল মাইল উড়তে পারবে অ্যালিস।
ডেভিস জানিয়েছেন, উদ্বোধনী ফ্লাইট থেকেই কয়েক টেরাবাইট ডেটা সংগ্রহ করেছে অ্যালিসে থাকা ‘ডেটা অ্যাকুইজিশন সিস্টেম’। ওই ডেটার ভিত্তিতে আকাশে অ্যালিসের পারফর্মেন্সের সঙ্গে ইভিয়েশনের আগের মডেল ও বিশ্লেষণের তুলনা করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। “তখন আমরা বুঝতে পারব যে এর পরে আমাদের কী করতে হবে,”।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অ্যালিস নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে ইভিয়েশন। ২০২৫ সালের মধ্যে অ্যালিস যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর অনুমোদন পাবে বলে আশা করছে এর নির্মাতা কোম্পানি। অনুমোদন পাওয়ার দু-এক বছরের মধ্যেই ক্রেতাদের হাতে বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎচালিত যাত্রীবাহী প্লেন পৌঁছে দিতে চায় ইভিয়েশন।
আপনার মতামত লিখুন :