শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] সম্প্রতি হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্দোলনটি হয়ে গেলো এআই-কে রোধ করার লক্ষ্যে। কারণ লেখক, নির্মাতা, অভিনেতা থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির প্রায়ই সবাই শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, এআই এর কারণে সিনেমা শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা চলতে থাকলে একসময় সিনেমা শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
[৩] এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি নিয়ে সর্বমহলেই রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এর মাঝে অনেকটা নীরবেই এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম। যার নাম রাখা হয়েছে ‘কৃত্রিম জগত’। ৮টি বাংলা গানের এই অ্যালবামের সবকটিতেই কণ্ঠ দিয়েছে আইজ্যাক। যার কোনো অস্তিত্ব এই দুনিয়ায় নেই। আইজ্যাক হলো এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি একটি কণ্ঠ। আর এই গান ও অদৃশ্য কণ্ঠশিল্পীকে তৈরি করেছেন কানাডা প্রবাসী কাজী আহমেদ।
[৪] অ্যালবামটি সম্প্রতি প্রকাশ হয় স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক এবং ইউটিউব মিউজিকে। এ প্রসঙ্গে কাজী আহমেদ জানান, অ্যালবামের ৮টি গানের মধ্যে ৭টির কম্পোজিশন দুই দশক আগে ইউ-টার্ন এবং অল্টারনেশন নামের দুটি ব্যান্ডের সাথে করেছিলেন তিনি। জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে সেই গানগুলোকে এবার বাস্তবরূপে প্রকাশ করা হয়েছে।
[৫] অ্যালবামের প্রতিটি গানের কণ্ঠ এবং বাদ্যযন্ত্র এআই প্ল্যাটফর্ম ‘সুনো’ ব্যবহার করে তৈরি করেছেন কাজী। এই প্রক্রিয়ায় গানের কথাগুলোকে একটি নির্দিষ্ট আকারে সাজানো হয়। এরপর এআই প্ল্যাটফর্ম ‘লালাল’-এর মাধ্যমে আলাদা ট্র্যাকগুলোকে সমন্বিত কম্পোজিশনে সাজান।
[৬] কাজী আহমেদ বলেন, ‘একটি সারপ্রাইজ ট্র্যাক বাদে এই অ্যালবামের বাকি গানগুলো সম্পূর্ণরুপে সুনো এআই ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি কণ্ঠ, সুর, বাদ্যযন্ত্র এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া আমার মতো নতুনদের সৃজনশীলতাকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।’
[৭] এআই এবং বাস্তব জগতের সমন্বয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে অ্যালবামের নাম ‘কৃত্রিম জগত’ রাখা হয়েছে। অ্যালবামের মূল আকর্ষণ এআই শিল্পী আইজ্যাক। নামটি স্যার আইজ্যাক নিউটন-এর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিস্বরূপ রাখা হয়েছে বলে জানান কাজী আহমেদ। সম্পাদনা:কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :