ইকবাল খান: [২] ভারতসহ বিশ্বের ৯১ দেশের অ্যাপ্লের আইফোন গ্রাহকরা আবার পেল সতর্কবার্তা। বুধবারের ওই বার্তায় গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে ‘ভাড়াটে যোদ্ধা-স্পাইঅয়্যার’ ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস
[৩] ইসরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি পেগাসাসের মতো ওই স্পাইঅয়্যারের সাহায্যে আড়ি পাতাই রাষ্ট্রীয় বা বেসরকারি হ্যাকারদের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে অ্যাপ্ল।
[৪] গত অক্টোবরে কংগ্রেস এমপি শশী তারুর, তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবসহ বিভিন্ন বিরোধী নেতা-নেত্রী এবং কয়েক জন সাংবাদিকের অ্যাপ্লের আইফোনে সতর্কবার্তা এসেছিল, ‘আপনার ফোনটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত হ্যাকিংয়ের নিশানা হয়েছে’। সূত্র: আনন্দবাজার, ফিনান্সিয়ালএক্সপ্রেস
[৫] এর পরেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই বিতর্ক শেষ হওয়ার আগেই আবার এল অ্যাপ্লের সতর্কবার্তা।
[৬] সাধারণ চর-সফ্টঅয়্যারের তুলনায় এই ‘ভাড়াটে যোদ্ধা-স্পাইঅয়্যার’ অনেক ‘সুনির্দিষ্ট এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক’ হয়ে থাকে। এর সাহায্যে অল্প কয়েক জন ‘শিকার’কে বেছে নিয়ে তাদের ফোনে নজরদারি চালান সরকারি বা বেসরকারি হ্যাকারেরা।
[৭] ২০২১ সালের জুলাইয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে ইসরায়েলি ‘স্পাইঅয়্যার’ পেগাসাসের সাহায্যে রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিরোধী নেতা-নেত্রী, সাংবাদিক এমনকি, কয়েক জন বিচারপতির ফোনেও আড়ি পাতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গড়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নিযুক্ত সেই কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছিল মোদি সরকার তদন্তে কোনও সহযোগিতা করেনি।
[৮] অভিযোগ ওঠার পরেই ইসরায়েলি সংস্থা এনএসও জানিয়েছিল, তারা শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকারকেই তাদের চর-সফ্টঅয়্যার পেগাসাস বিক্রি করেছিল। বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থাই এই স্পাইঅয়্যার কাজে লাগিয়ে ফোনে আড়ি পেতে থাকে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র সচিবের অনুমতি ছাড়া আড়ি পাতা যায় না।
[৯] ২০২১ সালে অ্যাপ্ল এই সতর্কবার্তা দেয়া শুরু করে। পরবর্তীতে ১৫০টি দেশের অনেক আই-ফোন ব্যবহারকারী এই সতর্কবার্তা পেয়েছেন।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :