শিরোনাম
◈ বাহুবলী: দ্য এপিক, ৫ ঘণ্টা ২৭ মিনিটের দীর্ঘতম সিনেমা ◈ দুঃখ প্রকাশ করলেন রুমিন ফারহানা ◈ ১১৪ সরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ◈ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারী থালাপতি বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা ◈ অনলাইন জুয়ার দাপট ঠেকাতে বিল পাস, ভারতে নিষিদ্ধ ৫ অ্যাপ ◈ রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল ◈ বৃহস্পতিবার সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা ◈ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, যা বললেন ডিএমপি ◈ যুক্তরাষ্ট্রে মিনিয়াপোলিসের স্কুলে গুলি, নিহত ২, আহত ২০ (ভিডিও) ◈ আবারও নেপালকে হারালো বাংলাদেশ, প্রীতির হ্যাটট্রিক

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৩৭ রাত
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে আকাশের বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে রংধনু

টাইমস অফ ইন্ডিয়া: একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টির ঠিক পরে আকাশে ভেসে উঠতো  সাতরঙা রংধনু। কিন্তু এখন তা প্রায় এক বিরল দৃশ্য হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, এখন যদিও বা মাঝে মাঝে চোখে ধরা পড়ে রংধনু, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে তা বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে। কারণ, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও আবহাওয়ার পরিবর্তন রংধনুর উপস্থিতিতে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে।  সূর্যের আলো যখন বৃষ্টির ফোঁটার ভেতর দিয়ে প্রতিফলিত হয়, তখনই রংধনু সৃষ্টি হয়। ফলে বৃষ্টির ধরণ বদলালে সাত রঙের সেই সংখ্যাও পাল্টে যেতে বাধ্য। এই গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত রংধনুর ছবি দিয়ে একটি বৈশ্বিক ডেটাবেস তৈরি করেন। পরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা–ভিত্তিক মডেল ব্যবহার করে তাঁরা আবহাওয়া ও জলবায়ু তথ্যের ভিত্তিতে রংধনুর সম্ভাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেন। 

ফলাফল বলছে, বর্তমানে পৃথিবীর প্রত্যেকটি স্থলভাগে গড়ে বছরে প্রায় ১১৭ দিন রংধনু দেখা যায়। কিন্তু ২১০০ সালের মধ্যে এই সংখ্যায় গড়ে ৪-৫ শতাংশ পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সব অঞ্চলে তা সমানভাবে হবে না। বিশ্বের প্রায় ২১ থেকে ৩৪ শতাংশ অঞ্চলে রংধনুর দেখা কমে যেতে পারে। বিপরীতে ৬৬ থেকে ৭৯ শতাংশ এলাকায় দেখা বাড়তে পারে। বিশেষত শীতল ও পার্বত্য অঞ্চল যেমন আর্কটিক ও হিমালয়ে রংধনুর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও, সেখানে মানুষের বসবাস তুলনামূলক কম। অন্যদিকে ভারতসহ জনবহুল কিছু এলাকায় রংধনুর দেখা কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কারণ বৃষ্টিপাত এবং মেঘের আবরণের পরিবর্তন পরিস্থিতিকে কম অনুকূল করে তোলে। 

এই গবেষণাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক ঘটনা দেখার সম্ভাবনা আমরা কীভাবে হারাতে পারি। যদিও রংধনু সরাসরি অর্থনীতি বা পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে না, তবুও তারা ভিন্নভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষের মনে আনন্দ ও প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগের অনুভূতি জাগায়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সেই সহজ অথচ গভীর অভিজ্ঞতাটিই হারানোর মুখে পড়তে পারে। 

সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়