স্পোর্টস ডেস্ক : রবি শাস্ত্রীর আমলে টেস্টে ‘রাজত্ব’ করেছে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দাপট দেখিয়ে এসেছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দল। তারপর রাহুল দ্রাবিড়ও সেই ধারা বজায় রেখেছিলেন।
লাল বলের ক্রিকেটে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন রোহিত শর্মারা। কিন্তু গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে দুই গর্বই হারিয়েছে ভারতীয় দল। দায় কার? রবি শাস্ত্রী সটান বলে দিচ্ছেন গম্ভীরকে ভরাডুবির দায় নিতে হবে। তিনি কোচ থাকলে অবশ্যই দায় নিতেন।
২০১৩ থেকে ২০২৪-র মধ্যে দেশের মাটিতে মাত্র ৪টে টেস্ট হেরেছিল ভারত। গত এক বছরে সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে গৌতম গম্ভীরের টিম ইন্ডিয়া। দেশের মাটিতে স্পিন খেলতে ব্যর্থ হচ্ছেন কেএল রাহুল, ঋষভ পন্থরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনের পর গুয়াহাটিতেও হেরেছে ভারত। যা নিয়ে শাস্ত্রী বলছেন, “গুয়াহাটিতে ১০০ রানে ১ উইকেট ছিল, সেখান থেকে ৭ উইকেট হারিয়ে করে ১৩০। এটা কীভাবে হয়? এই দলটা তো এত খারাপ নয়। এই দলে অনেক প্রতিভাবান প্লেয়ার আছে। প্লেয়ারদের দায়িত্ব নিতে হবে। ছোটবেলা থেকে তারা স্পিন খেলে বড় হয়েছে।
তারপরই গম্ভীরকে নিয়ে তাঁর বিস্ফোরণ, আমি গম্ভীরের হয়ে সাফাই দেব না। ও ১০০ শতাংশ দায়ী। এই দুরবস্থা যদি আমার সময়ে হত, আমি দায়িত্ব নিতাম।
সবার আগে এসে আমি দায় গ্রহণ করতাম। কিন্তু তারপর ড্রেসিংরুমে এসে কাউকে ছেড়ে কথা বলতাম না। গম্ভীর জমানায় অবশ্য পুরো উলটো ঘটনা ঘটছে। কখনও ব্যাটারদের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তো কখনও সাদা বলের পরিসংখ্যান তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেসব নিয়ে সোচ্চার শাস্ত্রী।
গম্ভীরের জমানায় গত একবছরে দেশের মাটিতে পাঁচ-পাঁচটা টেস্টে পরাজয় ঘটেছে। বিরাট-রোহিতদের জমানায় যা ছিল অসম্ভব, সেই শব্দটা এখন আর গম্ভীরের অভিধানে নেই। ২৫ বছর পর ভারতের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের ভাবাচ্ছে কোচ গৌতম গম্ভীরের লজ্জার রেকর্ড।
তাঁর অধীনে ১৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ৭টি জিততে পেরেছে ভারত। টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। ঘরের মাঠে জোড়া সিরিজে চুনকাম। ৬৬ বছরে প্রথমবার ৭ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হার। গম্ভীরের আমলে টেস্টে লজ্জার রেকর্ড ক্রমশ বাড়ছে।