শিরোনাম

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:২২ বিকাল
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

অস্ট্রেলিয়াকে লজ্জায় ডু‌বি‌য়ে সি‌রিজ জিত‌লো দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকা

‌স্পোর্টস ডেস্ক : তিন ম‌্যাচ ওয়ান‌ডে সি‌রি‌জের টানা দুই ম্যাচ জিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২৭৭ রান। অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১৯৩ রানে। ৮৪ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতল প্রোটিয়ারা। ম্যাথু ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ডের পর ফাইফার নিয়েছেন লুঙ্গি এনগিডি।

ট‌সে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। সতর্কতাবশত এই ম্যাচে টেম্বা বাভুমাকে একাদশে রাখা হয়নি। চোট না থাকলেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে প্রোটিয়া অধিনায়ককে। ফলে এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এইডেন মারক্রাম। তবে রানের খাতায় খুলতে ব্যর্থ হন মারক্রাম। ৪টি বল খেলেই জেভিয়ার বার্টলেটের বলে আউট হয়ে যান তিনি।

আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটনকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি বার্টলেট। ১৭ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন রায়ান। তারপর ম্যাথু ব্রিটজকে ও টনি ডি জর্জির জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা গড়েন ৬২ বলে ৬৭ রানের জুটি। টনিকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। জাম্পার বলে তারই তালুবন্দী হয়ে টনি বিদায় নেন ৩৯ বলে ৩৮ রান করে।

তারপর আরো বড় জুটি গড়েন ব্রিটজকে ও ত্রিস্টান স্টাবস। তারা দুইজনই হাঁকান অর্ধশতক। এই দুইজনের কল্যাণে চতুর্থ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৯০ বলে ৮৯ রান। বিশ্বরেকর্ড গড়ে ব্রিটজকে আউট হওয়ার মাধ্যমে ভাঙে এই জুটি। নাথান এলিসের শিকার হওয়ার আগে ব্রিটজকে করেন ৮৮ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম চার ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করা একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। প্রথম চার ম্যাচেই ৯৪.৫ গড়ে তার সংগ্রহ ৩৭৮ রান।

৭৮ বলে ৮৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ব্রিটজকে। এই ইনিংসের পথে তিনি হাঁকান আটটি চার ও দুইটি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১১৩। ডেওয়াল্ড ব্রেভিস সফল হতে পারেননি। ৫ বলে ১ রান করেই তিনিও এলিসের শিকার হন। ভিয়ান মাল্ডার ২১ বলে ২৬ রান করেন। কেশব মহারাজ ২৪ বলে ২২ রান করে অপরাজেয় থাকেন। অর্ধশতক হাঁকানো স্টাবস আউট হন ৭৪ রান করে। ৮৭ বলে এই ইনিংস খেলেন তিনি। স্টাবসের ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও একটি ছক্কা।

৪৯.১ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সংগ্রহ করে ২৭৭ রান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জাম্পা তিনটি উইকেট শিকার করেন। দুইটি করে উইকেট নেন এলিস, বার্টলেট ও মারনাস লাবুশেন।

সিরিজে ফেরার এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে। ট্রাভিস হেড, লাবুশেন ও মিচেল মার্শ বিদায় নেন ৩৯ রানের মধ্যে। হেডের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৬ রান, লাবুশেন করেন ৫ বলে ১ রান ও মার্শ ২৫ বলে ১৮ রান। উইকেট তিনটি নেন যথাক্রমে নান্দ্রে বার্গার, লুঙ্গি এনগিডি ও ভিয়ান মাল্ডার।

তারপর ইনিংস গড়ার কাজ করার চেষ্টা করেন ক্যামেরন গ্রিন ও জশ ইংলিস। ৭৯ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন তারা দুইজন। গ্রিনকে নিজের বলেই তালুবন্দী করে এই জুটি ভাঙেন সেনুরান মুথুসামি। ৫৪ বলে ৩৫ রান করেন গ্রিন। ১০৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

তারপর আর অজিদের স্বস্তি দেননি প্রোটিয়া বোলাররা। ২০ বলে ১৩ রান করা ক্যারিকে সাজঘরের পথ দেখান বার্গার। ১৬ বলে ১০ রান করা অ্যারন হার্ডি আউট হন লুঙ্গির বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে। তারপর সবচেয়ে বড় হুমকি ইংলিসকেও শিকার করেন লুঙ্গি। ৭৪ বলে ৮৭ রানে থামে ইংলিসের দুর্দান্ত ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ১০টি চার ও দুইটি ছক্কা।

১৮৪ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পর ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফলে অজিদের মাটিতেই তাদেরকে সিরিজ হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিলো প্রোটিয়ারা। ৮৪ রানের বড় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের পক্ষে ৫ উইকেট শিকার করেছেন লুঙ্গি। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন বার্গার ও মুথুসামি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়