নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ হঠাৎ ক্ষেপে গেলেন কেনো, তাও আবার নিজের ঘনিষ্ট বন্ধুর উপর, তাকে মিরপুর স্টেডিয়ামে ডেকে নিয়ে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে, কেনো এধরনের কাজ করলেন, কেনো তার বিরুদ্ধে বন্ধু থানায় জিডি করলেন, এসব জানতে আমাদেরসময় ডটকম থেকে তাসকিনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, ভাই আমি কিছু বলবো না, আমার স্ট্যাটাস পড়েন, আপনার কাছে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে,
তাসকিন কী লিখেছেন ফেসবুক স্ট্যাটাসে, তা হবহু তুলে ধরা হলো আমাদের সময় ডটকম পাঠকদের জন্য,
সবাইকে অনুরোধ, গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। আমি আমার ছোটবেলার বন্ধুর গায়ে হাত তুলেছি—এমন একটা ঘটনায় অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে।
আমি মনে করি, এমন গুজবে কান দিয়ে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না এবং অন্য কাউকেও বিভ্রান্ত করবেন না। এটা আমার, আমার পরিবার এবং আমার বন্ধুর জন্য সম্মানজনক না।
যা ঘটেছে, সেজন্য বন্ধু ও আমার মধ্যে কথা হয়েছে। এটা যে পর্যায়ে গেছে, তা কোনোভাবেই এমন হওয়ার কথা নয়। শুধু একটা কথাই বলতে চাই—বিষয়টা অন্য, বাস্তবতা ভিন্ন। (মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত)। আশা করি সত্যের পক্ষেই থাকবেন, সত্য কখনো মিথ্যা হয় না।
এর আগে এক সংবাদমাধ্যমে তাসকিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি বাসা বদলের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কাউকে মারিনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে বিব্রত করতে এই জিডি করা হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বন্ধু রসি নামে একজনকে ওরা (সৌরভরা) মারধর করেছে। আমি শুধু মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে ফোন করে জানিয়েছিলাম। এরপর পুলিশ গিয়ে ওদের খুঁজেছে। এরপর ওরা উল্টো আমার নামে জিডি করেছে।
তাসকিন জানান, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে পারিবারিকভাবেও যোগাযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, “ওর খালা আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বিচার দিয়েছিল। আমার বাবা কিছুই জানতেন না। পরে শুনে বলেন, ‘ওরা তো ছোটবেলার বন্ধু, এসব ভুল–বোঝাবুঝি ঠিক হয়ে যাবে। ’আসলে আমি ওদের সঙ্গে গত কয়েক মাস মিশি না, তাই ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
এদিকে বিসিবিও বিষয়টি আমলে নিয়েছে। বোর্ডের পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘মিডিয়াতে খবরটি দেখে বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি খেয়াল করেছেন। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটি সত্যি হলে খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘একজন আইকন প্লেয়ারের এমন ঘটনায় জড়ানো ঠিক নয়। এখনই বেশি কিছু বলছি না, আগে সত্যতা নিশ্চিত হোক।