বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়াবহ সব অভিযোগ। তার কাছের বন্ধুরাই জানিয়েছেন, মদ খাওয়া এবং নারী সঙ্গ ইস্যুতে সম্পর্ক ছিন্ন করায় তাদের গাড়িতে তুলে পিটিয়েছেন তাসকিন।
ভুক্তভোগী সিফাতুর রহমান সৌরভ টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের বাল্যবন্ধু। তিনি নিজ মুখে নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় তাকে জোর করে নিজ গাড়িতে তুলে পেটান তাসকিন। এসময় সঙ্গে ছিলেন আরেক বন্ধু ইশতিয়াক হৃদয়ও। তাকেও পেটান তাসকিন।
সৌরভ বলেন, ‘দিন শেষে যাকে পাচ্ছে তাকে মারতেছে। আবার মারার পরে কাউকে টাকা দিচ্ছে হসপিটালে নিয়েও আবার চিকিৎসা করিয়ে টাকা দিচ্ছে।’
সৌরভ জানান, গতকাল হুট করেই নিজ গাড়িতে জোর করে তুলে বেধড়ক পেটান তাসকিন। কিন্তু কেন ঘটলো, এমন ঘটনা? এমন প্রশ্নে ভুক্তভোগীরা নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, মদ্যপান ও নারী সঙ্গের কারণে টাইগার স্পিডস্টারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করায় ঘটেছে এমন ঘটনা।
সৌরভ আরও জানান, মিরপুর-১ নম্বর থেকে তাকে গাড়িতে তোলে তাসকিন। এরপর কাঁধে হাত দেওয়ার পরে হঠাৎ-ই মারতে শুরু করেন তাসকিন। সৌরভ বলেন, ‘আমাকে ধরে হঠাৎ করে আমাকে শুধু মাথায় ঘুষি দিছে। গাড়ির মধ্যে আমাকে ছাড়ছেই নাই।’
তাসকিনের আরেক বন্ধু ইশতিয়াক জানান, তাকে দিয়েই সৌরভকে ডেকে আনান তাসকিন। তিনি এও জানান, দুজনকে মারধর করে গুম করার হুমকিও দেন এই টাইগার পেসার।
তিনি বলেন, ‘(তাসকিন) বলতেছে সৌরভরে ফোন দে। আমি বললাম ‘না’, সৌরভকে কেন ফোন দিবো। বলে, ওর ওপর আমার জিদ আছে।’
তাসকিনের পাশের বাসায় বসবাস করা সৌরভের খালা ঝুমা খান জানান, এই ঘটনার পর সৌরভ ও ইশতিয়াককে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমিও বাইরে ছিলাম, এসে দেখি আমার এই ভাগ্নেকে মেরে-ধরে একাকার অবস্থা।’
এই ব্যাপারে জানতে তাসকিন আহমেদকে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার বাবা আবদুর রশিদ জানান, ছেলেকে নিয়ে তিনি চরম অশান্তিতে আছেন।
ঝুমা খানের ফোন থেকে আব্দুর রশিদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘থুতু মারলে তো আমাদের ওপরেই পড়বে। কী বলবো রে মা, তোরা এগুলা বলিস না আর। এগুলা শুনলে লজ্জা লাগে। কোন সঙ্গে পড়ছিল আল্লাহ জানে।’
এদিকে, এ ঘটনার পর সোমবারে মধ্যরাতে মিরপুর মডেল থানায় তাসকিনের বিরুদ্ধে জিডি করেন ভুক্তভোগীরা। যার কপিটি আছে নিউজ টোয়েন্টিফোরের কাছে। উৎস নিউজ টোয়েন্টিফোর