স্পোর্টস ডেস্ক : দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে সিরিজ জয়ের আশা দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচেই আবারও চিরচেনা ব্যাটিং ব্যর্থতা। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮৬ রানে গুটিয়ে গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। লঙ্কানদের কাছে টাইগারদের হারের ব্যবধান ৯৯ রান।
বড় রান তাড়ায় ওপরের দিকের ব্যাটারদের দারুণ কিছু করতে হতো। কিন্তু বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। ৭৮ বলের ইনিংসটিতে ৩ বাউন্ডারির পাশাপাশি ১টি ছক্কা মেরেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। -- ডেইলি ক্রিকেট
পারভেজ হোসেন ইমন ও মেহেদী হাসান মিরাজ ভালো শুরু পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দুজনের ব্যাট থেকেই এসেছে ২৮ করে রান। শেষের দিকে ৩৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলের হারের ব্যবধান শুধু কমাতে পেরেছেন জাকের আলী অনিক।
এদিন ক্যান্ডিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহুর্তও দেরি করেননি চারিথ আসালাঙ্কা। লঙ্কান অধিনায়কের লক্ষ্যটা ছিল পরিস্কার, যতটা সম্ভব বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দেওয়া। সেই পরিকল্পনায় বেশ সফল শ্রীলঙ্কা।
অথচ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ১৩ রানের মাথায় ওপেনার নিশান মাদুশঙ্কাকে হারায় স্বাগতিকরা। ৬ বলে ১ রান করা মাদুশঙ্কাকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। তবে আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন মেন্ডিস। দুজনেই করেছেন দারুণ ব্যাটিং। ৪৭ বলে ৩৫ রান করা নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন তানভীর ইসলাম।
কামিন্দু মেন্ডিস শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২০ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন তিনি। তবে একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখেছিলেন কুশল মেন্ডিস। তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের বাজে বল পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি। ৯৫ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১১৪ বলে ১২৪ রান করে থেমেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
আসালাঙ্কা খেলেছেন ৬৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। তাতেই ২৮৫ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে ৫২ রান দিলেও কোনো উইকেট নিতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান।