স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ড জিতে নিলেন ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় টেস্টে আরও এগিয়ে। ডাবল হান্ড্রেড করলেন। এটাই তাঁর টেস্টে প্রথম দ্বিশতরান। অন্যপ্রান্ত থেকে যখন উইকেট পড়ছে, তখন গিল একা কুম্ভ রক্ষা করছেন। শুভমান গিল ২৬৯ রানে আউট হয়েছেন। এদিন শুধু গিল ক্রিজে রয়েছেন বলেই ভারত রানের শিখরে চড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথম দিনের শেষে শুভমনের রান ছিল ১১৪। তাঁর সঙ্গী ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাঁ হাতি অলরাউন্ডার অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। ভারতের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ৩১০।
দ্বিতীয় দিনেও গিলের ব্যাটিং দাপট অব্যাহত। লাঞ্চের সময়ে ভারতের রান ছিল ৬ উইকেটে ৪১৯। জাদেজা হতভাগ্য। ৮৯ রানে ফিরতে হল তাঁকে। টংয়ের বিষাক্ত বাউন্সার থেকে নিজেকে সরাতে না পেরে আউট হন। তার আগে অবশ্য অধিনায়ক গিলের সঙ্গে ২০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। জাদেজার ৮৯ রানে সাজানো ছিল ১০টি চার ও একটি ছক্কা।
লাঞ্চের সময়ে গিল অপরাজিত ছিলেন ১৬৮ রানে। লাঞ্চের পর গিল আরও পরিণত। ইংল্যান্ডের বোলারদের রীতিমতো শাসন করে ডাবল হান্ড্রেড সেরে ফেললেন।
সংবাদ মাধ্যমে গিলের ইনিংস নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। তাঁর মতো নিয়ন্ত্রণ দেখাতে পারেননি প্রাক্তন ক্রিকেট তারকারাও। মে মাসে গিলকে যখন টেস্ট অধিনায়ক করা হয়, বিদেশের মাটিতে ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের রেকর্ড নিয়ে তখনও অনেকেই সন্দিহান ছিলেন।
ইংল্যান্ডে আগের ছয় ইনিংসে গিলের গড় ছিল মাত্র ১৪.৬৬। কিন্তু দুটো টেস্টে দুর্দান্ত ছন্দে থেকে গিল বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। তাঁর ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। রবি শাস্ত্রীর মতো দেশের প্রাক্তন কোচ বলেছেন, ''গিল নিজের ডিফেন্স নিয়ে অনেক কাজ করেছে। অতীতে গিল ইংল্যান্ডে শক্ত হাতেই খেলত। এখন নিজের খেলার ধরন বদলেছে। বলকে এখন ব্যাটে আসতে দেয়।
হেডিংলিতে সেঞ্চুরির পরে গিলকে নিয়ে পরিকল্পনা করে রেখেছিল ইংল্যান্ড। গত ১৬ বছরে কোনও ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে এতটা সোজা বল করেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। তাঁকে এলবিডব্লিুউ করতে চেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। দ্বিতীয় দিনও একই রণকৌশল নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গিল যে অন্য ধাতুতে গড়া ব্যাটসম্যান। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই তা প্রমাণ হচ্ছে।