স্পোর্টস ডেস্ক ; ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) মেয়েদের ক্রিকেটে অংশগ্রহণের নীতিমালায় এক বড় পরিবর্তন এনেছে। যার ফলে এখন থেকে শুধুমাত্র জন্মগত নারীরাই শুধু ক্রিকেট খেলতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের জন্য নারী ক্রিকেটের দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। --- চ্যানেল২৪
যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ের পর এই নীতিগত পরিবর্তন আনলো ইসিবি। যেখানে ‘নারী’ শব্দের সংজ্ঞা জন্মগত লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। ইসিবির এই পদক্ষেপ দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে এক নতুন আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।
ইসিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সবসময়ই ক্রিকেটকে নিরাপদ, আনন্দদায়ক এবং সবার জন্য সম্মানজনক রাখতে চায়। তবে ন্যায্য প্রতিযোগিতা এবং ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত অপরিহার্য ছিল।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ট্রান্সজেন্ডার নারী ক্রিকেটাররা এখন থেকে কেবল ওপেন ও মিশ্র বিভাগেই খেলার সুযোগ পাবেন। এর আগে তারা তৃতীয় স্তরের ঘরোয়া লিগ এবং রিক্রিয়েশনাল পর্যায়ের মেয়েদের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারতেন
ক্রিকেটের মতো ঐতিহ্যবাহী খেলায় এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ইসিবি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি ন্যায্য প্রতিযোগিতাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে ক্রীড়াঙ্গনে যখন ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক চলছে, তখন সাইক্লিং, সাঁতার এবং অ্যাথলেটিকসের পর ক্রিকেটও একই পথে হাঁটল। এই ঘটনা শরীরবৃত্তীয় বাস্তবতা এবং লিঙ্গ পরিচয়ের দ্বন্দ্বে নিয়মকানুনের নতুন সংজ্ঞাকে সামনে নিয়ে এসেছে।