শাহানুজ্জামান টিটু: [২] সদ্য কারামুক্ত এবং বিএনপি থেকে সদ্য বহিস্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, জিয়ার রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি আরো বেটার ও উন্নত। আমি মনে করি আমার প্রমোশন হয়েছে। তাই নৌকার হয়ে ভোট করবো।
[৩] তাকে ঝালকাঠি-১ আসনে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। শাহজাহান ওমর নিজেই এ কথা জানিয়ে বলেন, অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
[৪] তিনি বলেন, বিএনপিতো নির্বাচনে যায় না। আমরা আর কতদিন নিবার্চন বয়কট করবো। এবার বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিলো। নির্বাচনে গিয়ে দেখতাম কতখানি কারচুপি হয়। সেটাও একটা পরীক্ষা। যেহেতু এদেশের জনগণের দাম অতখানি নেই। তারাও তো দেখতো বিএনপি নির্বাচনে এসেছে, সুষ্ঠু হয়নি বা কারচুপি হয়েছে।
[৫] শাহজাহান ওমর বলেন, সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলেছি। বিএনপিতে কেউ কোনো কথা বলতে চায় না। আমি, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, মীর্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ চৌধুরী এবং সরোয়ার কেরাণীগঞ্জ জেলে একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছি। আমি বললাম নির্বাচনে যাওয়া উচিত। মহাসচিব বললেন হ্যাঁ যাবো। তবে তিন কন্ডিশনে। ম্যাডাম জিয়ার মুক্তি, নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং ফ্রি ফেয়ার ইলেকশনের অঙ্গিকার বা একটা প্রেক্ষাপট।
[৬] তিনি বলেন, এই তিন কন্ডিশনের পর আমাদেরকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হলো। এরপর থেকে আমরা আলাদা। আমি ভেবেছিলাম মহাসচিব আব্বাস ও আমীর খসরুকে এখানে রেখে সংলাপ হবে। আমার এই ধারণা ছিলো।
[৭] তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কখনো কথা বলিনি। প্রধানমন্ত্রী সাথে সাক্ষাতে কোনো অফার দেইনি।
[৮] তৃণমূল বিএনপি বা বিএনএম এই দুটি দলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাবিশ! এরা ফকিরনি পার্টি। দুই তিন কোটি টাকা পেয়ে একটা পার্টি দাঁড় করিয়েছে।
[৯] তারেক রহমানের কারণে বিএনপি ছেড়ে যাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান ওমর বলেন; তরুণ সবুজ আর অবুঝ বলেন আর বৃদ্ধ বলেন এটা কেমন যেন একটা রাজনীতি। যেটা আমার ক্যারাক্টারের সাথে যায় না। শুধু তারেক রহমান না একা নয় আরো যারা আছে সব মিলিয়ে আমি তাদের সাথে অ্যাডজাস্ট হচ্ছে না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসটি/এসবি/এনএইচ