সালেহ্ বিপ্লব: [২] বিএনপির সাবেক এই এমপি ফেসবুকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান আমাকে দেশমাতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। দেশমাতার মুক্তি, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি, সবার সকল মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকার একটি সবুজ সংকেত আমাকে দিয়েছে। তার জন্য দেশমাতা খালেদা জিয়ার সম্মতি দরকার। কিন্তু তারেকের ভারপ্রাপ্ত পদ চলে যাবে বলে সে আমাকে দেশমাতার সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না।
[৩] তিনি আরো বলেন, সবার আগে আমাদের দেশ। আমাদের দেশকে বাঁচাতে মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার বিকল্প কোন নেতা নাই। তিনি দেশপ্রেমিক, জনদরদী, মহান ও মহামানবিক। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার চেয়ে ত্যাগ আর কারো নাই। দেশমাতা খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোন পথ নাই।
[৪] খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে বুধবার তারেক রহমানের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন মেজর (অব.) আখতার।
[৫] চিঠিতে তিনি বলেছেন, আপনি বিশ্ববাসী ও দেশের জনগণকে বুঝিয়ে দেন - দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার স্বার্থে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমার বয়স ৭২ বছরের উপরের। এই বয়সে দল, দেশমাতা ও জিয়ার সঙ্গে বেঈমানী করবো না। আমি যা করছি ও করার চেষ্টা করছি তা শুধুমাত্র দেশ, জাতি ও দেশমাতার জন্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি দেশমাতা খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সকল রাজবন্দিদের ছেড়ে দিতে সম্মত আছেন। তিনি আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আমাকে দেশমাতার সঙ্গে কথা বলে তা নিশ্চিত করতে বলছেন। তাই গতকাল দেশমাতার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আপনার অনুমতি ছিল না বলে দেখা করতে পারি নাই। সাড়ে ৪ ঘন্টা ডাক্তার জাহিদের সঙ্গে বসেছিলাম। দেশমাতার মেডিকেল টিমের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। তারাও বলেছে দেশমাতার মুক্তির দরকার। দেশমাতার প্রেসক্রিপসানের ছবি আমাকে দেখিয়েছে। কিন্তু দেশমাতার সঙ্গে দেখা করতে আমাকে দেয় নাই। দেশমাতার মুক্তির জন্য আপনার সহায়তা চাচ্ছি। ভাল থাকবেন।
আপনার মতামত লিখুন :