শাহানুজ্জামান টিটু, রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে সরকারের মনোভাব ইতিবাচক হলে আবারো চিঠি দেওয়া হবে।
[৩] শনিবার বিএনপি প্রধানের বিদেশ পাঠানোর ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে আমাদের সময় ডটকমকে এ কথা বলেন তিনি।
[৪] এবিএম আবদুস সাত্তার বলেন, সরকারের আইনমন্ত্রী চিঠি দেখেননি। প্রতি মাসেই সরকারের কাছে আবেদন করছি। চলতি মাসের পাঁচ তারিখে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) স্থায়ী মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার। সেখানে স্পষ্ট করেই সব উল্লেখ করা আছে।
[৫] তিনি আরো বলেন, তারপরেও ওনারা (সরকার) যদি ম্যাসেজ দেয়, মনোভাব যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে আমাদের জানালে আমরা আবারো আবেদন করব। কারণ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের এখন চিকিৎসা প্রয়োজন। ম্যাডামের অবস্থা ভালো না। চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বাকিটা আল্লাহর হাতে।
[৬] গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল। এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।
[৭] খালেদা জিয়া রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থার অবনতি হলে মাঝে মাঝে তার করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। শুক্রবারে তাকে সিসিইউতে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিতে হয়েছে। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিসিইউতে নেওয়া হয়।
[৮] মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এবং বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন বেশ কয়েকবারই জানিয়েছেন, একাধিক জটিল রোগের কারণে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। একটা সমস্যার জন্যে ওষুধ দিলে পার্শ প্রতিক্রিয়ায় আরেকটি সমস্যা বেড়ে যায়।
[৯] তার মতে, দেশে যতোটা সম্ভব ছিলো, ততোটা চিকিৎসা করা হয়েছে। এখন দরকার সমন্বিত চিকিৎসা, যা বিদেশের কোনো বড়ো হাসপাতালে করাতে হবে।
[১০] খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদরোগ ও লিভার সিরোসিসে ভুগছেন। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের সমস্যাও আছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে তার অবস্থা জটিল হয়ে উঠেছে। শরীরে প্রোটিনের মাত্রা কমে যাচ্ছে।
[১১] অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন। গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসটি/আরএইচ/এসবি