রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, আমরা রাস্তায় নেমেছি পদযাত্রা করেছি, রোডমার্চ করছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে আছি। কথা পরিষ্কার শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা তো বেশি কিছু চাইনি। শুধু চেয়েছি সরকারকে পদত্যাগ করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। শেখ হাসিনা থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।
[৩] শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবিতে এ সমাবেশ করেছে দলটি।
[৪] মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার কাউকে ভোট দিতে দেয় না। সব কিছু জোর করে কেড়ে নেয়। বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশ যখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছে, তখন সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে যাচ্ছে। কীসের সংবিধান, যেটা তোমরা কাটাছেঁড়া করে শেষ করে দিয়েছো।
[৫] তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি টিম এসেছিল দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন, তা দেখতে। তারা বসেছিল দেশের রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে। তারা বলেছিল, দেশে গিয়ে বলব এ দেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবো কিনা। তারা কী বলেছে? তারা বলেছে বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাই তারা পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবে না। এ কথা বিশ্বের সবাই জানে, এমনকি জাতীয় পার্টি বলেছে, যদি সরকার পদত্যাগ না করে, তবে এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
[৬] বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচার ব্যবস্থা কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, স্বাভাবিকভাবে যে জামিন পাওয়ার কথা, সেই জামিনগুলো আমাদের ছেলেরা পাচ্ছে না। ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। একটা কারণ, বিএনপি এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের যদি তিন বছরের বেশি সাজা দেয়া যায় তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারবে না।
[৭] ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল প্রমুখ। সম্পাদনা: এল আর বাদল