শিরোনাম
◈ আ.লীগ বা সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে পারে: আসিফ নজরুল ◈ ভারত বলছে তিনটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, পাকিস্তানের অস্বীকার ◈ যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নয়, নিষিদ্ধ করতে হবে আ.লীগকে: নাহিদ ইসলাম ◈ সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে পুলিশ (ভিডিও) ◈ লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে ভারত ◈ পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হলেন আমেরিকান রবার্ট প্রিভোস্ট ◈ নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ ◈ আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে: নাহিদ ইসলাম ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে হাসনাতের নেতৃত্বে বিক্ষোভ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ◈ ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নিয়ে যা বলল পাকিস্তান

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:০৩ দুপুর
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৭:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : আরমান হোসেন

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর

সালেহ্ বিপ্লব: [২] এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটায় কেবিন থেকে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়েছে। 

[৩] বিএনপির চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। 

[৪] এই দফায় গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি বেগম খালেদা জিয়া। নানাবিধ জটিলতায় ভুগছেন তিনি। সব কিছু ছাড়িয়ে সবচেয়ে বড়ো হয়ে দেখা দিয়েছে লিভারের সমস্যা। অবিলম্বে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে, গত কিছুদিন ধরে ক্রমাগত বলছেন তার চিকিৎসক এবং দলীয় নেতারা। কিন্তু দেশে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্ভব নয়, তাই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার দাবি জানানো হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। পরিবারের পক্ষ থেকেও গত সপ্তাহে তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে সরকার তার মুক্তির মেয়াদ আরেক দফায় ৬ মাস বাড়ালেও বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে সাড়া দেয়নি।   

[৫] খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদরোগ ও লিভার সিরোসিসে ভুগছেন। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের সমস্যাও আছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে তার অবস্থা জটিল হয়ে উঠেছে। শরীরে প্রোটিনের মাত্রা কমে যাচ্ছে।

[৬] মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এবং বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন বেশ কয়েকবারই জানিয়েছেন, একাধিক জটিল রোগের কারণে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। একটা সমস্যার জন্যে ওষুধ দিলে পার্শ প্রতিক্রিয়ায় আরেকটি সমস্যা বেড়ে যায়। 

[৭] তার মতে, দেশে যতোটা সম্ভব ছিলো, ততোটা চিকিৎসা করা হয়েছে। এখন দরকার সমন্বিত চিকিৎসা, যা বিদেশের কোনো বড়ো হাসপাতালে করাতে হবে। 

[৮] দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে ২০১৮ সালে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর কারাজীবন শুরু হয। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত রেখে তাকে ৬ মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। সেই থেকে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন। প্রতি ৬ মাস অন্তর সরকার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়