সালেহ্ বিপ্লব: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, বাক স্বাধীনতাকে বাধা দেয়া হলে গণতন্ত্র থাকতে পারে না। সাইবার সিকিউরিটি আইনে যে কোন সংবাদকেই সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে গণ্য করতে পারবে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করতে পারবে। এখন গণমাধ্যমে সেলফ সেন্সরশীপ চলছে, আগামী কোন সেন্সর দরকার হবে না। কারণ গণমাধ্যম কোন সংবাদই করতে পারবে না। এতে সকল নিউজ চ্যানেল বন্ধ হবার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করতে। নিউজের পরিবর্তে টেলিভিশনে গান-বাজনা ও নাটক চলবে, কেউই আর সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না। বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্রের অভাব। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র চর্চা করার পরিবেশ নেই। দেশ এখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে। সাইবার সিকিউরিটি আইনের মাধ্যমে মানুষের বাক স্বাধীনতা, ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে জনগনই দেশের মালিক। জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার গঠন করে। মালিক হিসেবেই জনগণ যদি সরকারের সমালোচনা করতে না পারেন, তাহলে সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজ করলে তা ঠেকানোর উপায় কী? জনগণ যদি সরকারের সমালোচনা না করতে পারে সেখানে আর গণতন্ত্র থাকতে পারে না।
[৫] বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পেশাজীবী সমাজের এক সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পেশাজীবী সমাজের সভাপতি ডা. মোস্তাফিকুর রহমান আকাশ।
[৬] জি এম কাদের আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরাও শংকিত। দুটি পক্ষ যেভাবে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের মাঝে সহিংসতার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। একটি দলের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, তারা জিততে না পারলে যেনো তাদের মৃত্যু হবে। তাই তারা মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। আবার ক্ষমতায় না থাকতে পারলে ভবিষ্যতে বর্তমান সরকারের দূর্গতি হবে এই ভেবে সরকারি দল ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দুটি দল মুখোমুথি হলেই বড় ধরনের সহিংসতা হতে পারে। দেশ ও জাতি ধংসের পথে চলে যেতে পারে। দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। জেদ ও স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশকে ধংস করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি।
এসবি/একে