আমিরুল ইসলাম: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক ও স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের রূপকার জাসদ নেতা সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ষাটের দশকের শুরুতে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে যাবতীয় নীতি-কৌশল প্রণয়ন করা এবং স্বাধিকার আন্দোলনকে সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিউক্লিয়াস গঠন করেন। ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচি বিশেষ করে ছয় দফা, ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের এগারো দফার আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনকে গণ আন্দোলনে রূপদানের মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ছিল মুল লক্ষ।
একইসাথে জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করা ছিল নিউক্লিয়াসের অন্যতম কাজ। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তৈরি, ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন, জয়বাংলা বাহিনী গঠন এবং তার কুচকাওয়াজ ও শেখ মুজিবুর রহমানকে সামরিক অভিবাদন জানানো, সবই ছিল সিরাজুল আলম খানের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বিরোধী দল গঠন করে দুঃশাসন এর বিরুদ্ধে লড়াই এ তার নেপথ্যে সর্বজনবিদিত।
বিবৃতি দাতারা হলেন মোস্তফা জামাল হায়দার চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টি, মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম চেয়ারম্যান কল্যাণ পার্টি, অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয় দল, শাহাদাত হোসেন সেলিম মহাসচিব বাংলাদেশ এলডিপি কারী মোহাম্মদ আবু তাহের চেয়ারম্যান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম মহাসচিব জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী চেয়ারম্যান, মুসলিম লীগ (বি এম এল), ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান সভাপতি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা, এডভোকেট আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান, ন্যাপ-ভাসানী, এডভোকেট আবুল কাশেম চেয়ারম্যান ইসলামিক পার্টি, শওকত আমিন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইসলামী ঐক্যজোট, ডক্টর সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেউদ্দিন চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :