রিয়াদ হাসান: রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিকেলে এক প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। অতীতে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, আগামীতেও হবে না। সেজন্য বিএনপি তার অধীনে নির্বাচন যাবে না। আজ আন্তর্জাতিকভাবেও দাবি উঠেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। তাই বিদেশিরাও দাবি তুলেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। বিএনপিসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে আন্দোলনরত কোনো দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, সরকার আবারো গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের শুরু করেছে। এবার কিন্তু সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। আগামী নির্বাচনে তাদের কোনো খবর থাকবে না। সেজন্য নানা ধরনের ফন্দি-ফিকির করছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, এবারো সরকার ইভিএম দিয়ে ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের দাবির মুখে ইভিএম প্রকল্প বাতিল হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি সরকার ঠেকাতে পারেনি। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, এর আগে আমেরিকা র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে আবারো ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এই সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিয়েছে। এই ঘোষণা বাংলাদেশের মানুষের জন্য লজ্জাজনক।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যাতে দেশে এসে নেতৃত্ব দিতে না পারে সেজন্য তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে। আমরা অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। তাছাড়া সংকটের সমাধান হবে না।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মো. আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা মো. আমানউল্লাহ আমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, রকিবুল ইসলাম বকুল, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা মহানগরীর ইউনুস মৃধা, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। সম্পাদনা: এল আর বাদল
আরএইচ/এলআরবি/এসবি২