নিউজ ডেস্ক: কারাবন্দী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গুরুতর অসুস্থ হলেও উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী আরজুমান আরা আইভী। তিনি বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি থেকে রিজভী পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব এবং ঘন ঘন বমি করেন। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না। তাকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হলেও সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা হচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। এমন অবস্থায় তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত আমি। শরীরে বড় ধরনের জটিলতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইত্তেফাক
রোববার কারাগারে গিয়ে রুহুল কবির রিজভীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়ে স্ত্রী আরজুমান আরা আইভী এ অভিযোগ করেন।
আরজুমান আরা আইভী বলেন, এমনিতেই রুহুল কবির রিজভী অনেকগুলো জটিল রোগে আক্রান্ত। মহামারি করোনাকালেও তিনি কয়েকবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় চার মাস হাসপাতালে ছিলেন। এর আগে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তার ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাকে চিকিৎসকের পরামর্শে খুবই মেপে জীবনযাপন করতে হয়। অথচ কারাগারের ভেতরে তার সুচিকিৎসা না হওয়ায় প্রতিদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাকে জরুরি উন্নত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তিনি অবিলম্বে রুহুল কবির রিজভীর মুক্তি দাবি জানান।
তিনি জানান, রুহুল কবির রিজভী ১৯৮৪ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে পেটে গুলিবিদ্ধ হন। ওই সময় এবং পরবর্তী সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নেন তিনি। এর পর থেকেই তার পেটে সমস্যা জটিল হয়ে আছে। নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অস্ত্রোপচার থেকে এ সমস্যা হয় বলে জানান তিনি।
আরজুমান আরা আইভি জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে গত প্রায় ৩০ বছর ধরে রিজভী হাতের স্পর্শে খাবার খান না। খোলা পানিও পান করেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে বোতলজাত পানি পান করেন তিনি। এজন্য পানির বোতল পাঠিয়েছি কারাগারে। কিন্তু তাকে খেতে দেওয়া হচ্ছে কি না তা জানি না।
উল্লেখ্য যে,৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সাড়ে চারশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে রুহুল কবির রিজভীকেও আটক করে কারাগারে নেওয়া হয়। নেতা-কর্মীদের অনেকে মুক্তি পেলেও রিজভীকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জরুরি ভিত্তিতে রুহুল কবির রিজভীকে কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আল্লাহ না করুন, রিজভী আহমেদের যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
এসএ/এসএ