শাহীন খন্দকার : ছাত্রলীগের আগামীর নেতৃত্বকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, করোনার সময় অন্য দলের ছাত্র সংগঠনগুলো কারও পাশে এসে দাঁড়ায়নি, তারা বাসায় বসে ছিল। কিন্তু নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বিদায়ি সভাপতি আরও বলেন, ছাত্রলীগের আজকে ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে। তাদেরকে আমি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
আল নাহিয়ান খান জয় আরও বলেন, জাতির পিতা জীবন-যৌবন দিয়ে শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেছিলেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনা নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার সারথি হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা যখনই সমস্যার সম্মুখীন হয়, ছাত্রলীগ নেতারা সেই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে। ছাত্রলীগ কথায় বড় নয় কাজে বড়।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কথায় বড় না হয়ে কাজে বড়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করা হয়।
আমরা শুনেছি ছাত্রদলের নেতারা পরীক্ষার হলে না এলে নাকি ওইদিন পরীক্ষাই হতো না। সেই ছাত্রদল তৈরি করেছিল খুনি জিয়া। বিএনপির সমালোচনা করে জয় আরও বলেন, আজকে বিএনপি একটি মুখোশধারী দল।
যে দলের মূল কাজ ছিল শিক্ষকদের গুলি করে হত্যা করা, শিক্ষার্থীদের দিয়ে টেন্ডারবাজি করা। তরুণ সমাজ এই দল চায় না।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন।
ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান।
তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।
এএইচ
আপনার মতামত লিখুন :