শাখাওয়াত মুকুল: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সমাবেশে বাধা, নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করে সরকার জনবিষ্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না। জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। এই দেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছে। মানুষ এখন সরকারের পতন চায়। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অস্তিত্ব রক্ষা করতেই আওয়ামী লীগ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এজন্যই নিশিরাতের এই সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে স্তব্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
আওয়ামী লীগ এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও মানবিক কর্মসূচির ওপর বেপরোয়া হামলা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধীদলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘকাল ভোগ করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, মামলা গণ-গ্রেপ্তার করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একদিকে অবৈধ সরকারের লুটেরা বাহিনী লুন্ঠন করে বিদেশে বিপুল অর্থবিত্তের পাহাড় গড়ছে, অন্যদিকে দেশের কৃষক যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করছে তাদের ওপর চলছে সীমাহীন জুলুম ও অত্যাচার।
কৃষকরা এখন অভাব ও দেনার দায়ে জর্জরিত। ক্ষোভ-হতাশা ও বঞ্চনায় তারা আত্মহত্যাও করছে। বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনস্বার্থের কোন দাবি বা অধিকারকে পরোয়া করে না। সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য এখন পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন।
বিবৃতিতে, পাবনার ইশ্বরদী উপজেলায় ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়ার অভিযোগে ৩৭ জন কৃষকের নামে দায়েরকৃত মামলায় ইতোমধ্যে ১২ জন কৃষককে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানান। এছাড়া, নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় দলীয় কার্যালয়ে কৃষকদলের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বোরো ধানের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলার নিন্দা জানান তিনি।
এসএম/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :