শাপলা প্রতীক না পেলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেছেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের সব নিয়ম মেনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি এবং প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়েছি। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচন কমিশন বলছে, শাপলা তাদের তালিকাভুক্ত প্রতীক নয়। অথচ শাপলা যেমন একটি প্রতীকের অংশ হতে পারে, তেমনি তালিকাভুক্ত অন্যান্য প্রতীকের অংশ ধানের শীষও।
যদি অন্য দলগুলো প্রতীকের অংশ হিসেবে এগুলো পেতে পারে, তাহলে এনসিপিকেও শাপলা প্রতীক দিতে হবে। আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।’
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলার এনসিপি কমিটির সমন্বয় সভা শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক, যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাস, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমনসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা।
বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ হত্যার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ এই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমরা সেই প্রক্রিয়ার দিকেই যাচ্ছি। তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে এবং এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাদের দল হিসেবে বিচার হবে ও নিষিদ্ধ করা হবে।
সারজিস আলম আরো বলেন, ‘মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তারা আগামীর বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। দেশের রাজনীতি থেকে দুর্নীতি, দখলদারি ও বৈদেশিক প্রভাব দূর করতেই আমাদের সংগ্রাম।’
তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় কেউ আসতে পারবে না।
সভায় দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আগামী আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়ে অংশ নেন।