শিরোনাম
◈ কক্সবাজারে মিথ্যা অপহরণ নাটকের মূলহোতা আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ◈ ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক হামলা সম্পর্কে আপনি কী জানেন? ◈ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ৪০,০০০ বডি ক্যামেরা ◈ এসএসসি ও সমমানের পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ, যেভাবে দেখা যাবে ◈ ৪ বন্দর পেরিয়ে চট্টগ্রামে বাজল সংকেত, ব্রাজিল থেকে আসা কনটেইনারে পাওয়া গেছে তেজস্ক্রিয়তা! ◈ ৪০ বছর ধরে গর্ভে সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বৃদ্ধা! ◈ এক বছরে দিল্লি ও ঢাকার সম্পর্ক রাতারাতি বদলে গেল কীভা‌বে? ◈ জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো নিউ জিল্যান্ড ◈ ‘গাজীপুর স্টাইলে’ ৫ সাংবাদিককে হত্যার ছক, ছাত্রলীগের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস, তালিকায় যারা আছেন ◈ সপ্তমবার ভাঙলো জাপা!

প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৫৩ দুপুর
আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি চায় এনসিপি

প্রধান উপদেষ্টার উপস্থাপন করা জুলাই ঘোষণাপত্র 'পরিপূর্ণ' হয়নি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজও জুলাই শহীদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে 'ব্যর্থ' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

আজ বুধবার দুপুরে জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দলীয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন বলেন, 'জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের শহীদদের "জাতীয় বীর" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে; জুলাইয়ের আন্দোলনকারী, শহীদ পরিবার ও আহতদের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। এই ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে আবারো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে যে, বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্রকাঠামো আমরা পাবো।'

তিনি বলেন, 'একইসঙ্গে, এই ঘোষণাপত্রের আরও পরিপূর্ণতার জন্য আমরা দীর্ঘ সময় ধরে সরকারের কাছে যে দাবিগুলো জানিয়ে এসেছিলাম, তার কিছু বিষয় অনুপস্থিত রয়ে গেছে।'

জুলাই ঘোষণাপত্রে এই ভূখণ্ডের '৪৭-এর আন্দোলন উল্লেখ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যার ব্যাপারে "প্রায় এক হাজার" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে এক হাজার ৪০০ জনের কথা। গত এক বছরে সরকার শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে।'

পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, বিচারিক হত্যাকাণ্ড, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার ফাহাদের ভারতের আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন, মোদিবিরোধী আন্দোলনের কথা এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকলে ঘোষণাপত্র পরিপূর্ণ হতে পারতো বলে মনে করে এনসিপি।

আখতার বলেন, 'সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই ঘোষণাপত্রের ২৫ ও ২৭ নম্বর পয়েন্টে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানে তফসিলে এই ঘোষণাপত্রকে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। আমরা এনসিপি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়ে আসছি। সে লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি আমরা সরকারের কাছে করে এসেছি।'

তিনি বলেন, 'ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়বস্তুতে ঐকমতৗ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেখানে বাস্তবায়নের পথ কি হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। যখন এই ঘোষণাপত্রকে পরবর্তী সংস্কারকৃত সংবিধানের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আমাদের যে নতুন সংবিধানের দাবি, তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়।'

তিনি পুনরায় দাবি জানান, বাংলাদেশে যে নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে, তাদের অভিপ্রায়কে ধারণ করতে যেন নতুন সংবিধান তৈরি করা হয় এবং সেখানে জুলাই ঘোষণাপত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এনসিপি সদস্য সচিব বলেন, 'জুলাই সনদে যে সংস্কারগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে এবং কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, সেসব সংস্কার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল থেকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই সনদকে কার্যকর করে, তার ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।'

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সবার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সংগ্রাম জারি রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন। আমাদের তাতে আপত্তির কোনো জায়গা নেই। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের পূর্বে সরকারের অবশ্য পালনীয় কিছু কর্তব্যের জায়গা রয়েছে। গণহত্যাকারীদের বিচার ও রাষ্ট্র কাঠামোর গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার নিয়ে এই সরকার যাত্রা শুরু হয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে সংস্কারকে দৃশ্যমান করা ও সংস্কার বাস্তবায়ন করা এ সরকারের অবশ্য কর্তব্য।'

একইসঙ্গে নির্বাচনের আগেই মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন আখতার।

তিনি সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতি চান যে, নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান করা হবে, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। উৎস: ডেইলি স্টার।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়