শিরোনাম
◈ কানাডায় ভারতীয় গ্যাং লরেন্স বিষ্ণোই চক্রের ভয়ংকর তৎপরতা:, সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি ◈ বিজ্ঞানীদের দাবি ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষের আয়ু হবে ১,০০০ বছর! ◈ লুট হওয়া অস্ত্রের তথ্য দিলে পুরস্কার দেবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দ্রুত ‘ইলেকশন অ্যাপ’ উদ্বোধনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ দেশে ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ, খসড়া তালিকায় নতুন যুক্ত ৪৫ লাখ ◈ জিরো রিটার্নধারীদের সতর্ক করলো এনবিআর, ভুল তথ্যে হবে শাস্তি ◈ যে ঘটনার কারণে রুশনারা আলী মন্ত্রিত্ব হারালেন! ◈ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক অবরোধ, দুর্ভোগে উত্তরাঞ্চলের মানুষ ◈ কক্সবাজারে মিথ্যা অপহরণ নাটকের মূলহোতা আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ◈ ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক হামলা সম্পর্কে আপনি কী জানেন?

প্রকাশিত : ১০ আগস্ট, ২০২৫, ১২:২৩ দুপুর
আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ৪০,০০০ বডি ক্যামেরা

মনিরুল ইসলাম: আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০,০০০ বডি-ওয়্যার ক্যামেরা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শনিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী এবং ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, ৪০,০০০ বডি ক্যামেরা, যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত, সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, এই ডিভাইসগুলি হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।

"আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই যেন পুলিশ বাহিনী এসকল বডিক্যামের এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলির উপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারেন,"  তিনি বলেন।

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জার্মানি, চীন এবং থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেছে ক্যামেরা সরবরাহের জন্য। পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলরা নির্বাচনের সময় ডিভাইসগুলি তাদের বুকে পরবেন।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এ সময় কর্মকর্তাদের বডিক্যামগুলো দ্রুত ক্রয় এবং হাজার হাজার পুলিশ কর্মীর জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

"আমাদের অবশ্যই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, খরচ যাই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য হলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করা," তিনি বলেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন ভোটের জন্য একটি নির্বাচনী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান।

অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের উপর বিশদ তথ্য প্রদান করবে, এর মধ্যে প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের অ্যাপটি দ্রুত চালু করার এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহার-বান্ধব কিনা তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়