শিরোনাম
◈ ধামরাইয়ে বিশেষ অভিযানে ৩১লাখ টাকার হেরোইন সহ গ্রেপ্তার ৩।  ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে ৪৮ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দি‌লো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে ইসরায়েলের বিরু‌দ্ধে ম্যাচের টিকিট বিক্রির টাকা ফিলিস্তিনে দান করবে নরওয়ে ◈ জাতিসংঘের এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশ, সতর্ক থাকবার বার্তা তারেক রহমানের ◈ নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ গণআন্দোলন রুখতে কড়া প্রস্তুতি: গবেষণায় নামছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন উদ্যোগ: ‘জাপান ডেস্ক’ চালু, ভাষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা ◈ চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক ◈ ফরিদপুরে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে অসন্তোষ, যা বলছেন ইসি সচিব ◈ পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে যে কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২৫, ০৫:১২ বিকাল
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জিএম কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতার অবসান চায় জাপা সিনিয়র নেতারা 

মনিরুল ইসলাম : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকাণ্ডের অবসান চায় দলটির সিনিয়র নেতারা। আজ বুধবার দলটির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের জাতীয় সম্মেলন বা কাউন্সিলের তারিখ ও স্থান নির্ধারণের পূর্ণ ক্ষমতা প্রেসিডিয়ামের। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মাননীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের  প্রেসিডিয়ামের মতামত বা অনুমোদন ছাড়াই একতরফাভাবে ২৮ জুন নির্ধারিত দশম জাতীয় কাউন্সিল  স্থগিত করেছেন এবং একই দিনে একই স্থানে অন্য কর্মসূচি আহ্বান করেছেন—যা সম্পূর্ণভাবে গঠনতন্ত্র ও দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

নেতৃদ্বয় বলেন, ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গঠন করা হোক। গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা যেভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, তা প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চার অন্তরায়। জাতীয় পার্টির অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য বিশ্বাস করেন, এই ধারা গণতন্ত্রবিরোধী এবং অনতিবিলম্বে সংশোধনের দাবি রাখে।

তাদের দাবি, এই একতরফা সিদ্ধান্তের পিছনে দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য আছে বলে আমরা মনে করি। দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতাকর্মীরা দলীয় অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি জানিয়ে আসলেও, মাননীয় চেয়ারম্যান সেই চাহিদা এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সদিচ্ছার ঘাটতি এবং স্বচ্ছতা এড়িয়ে চলার প্রবণতাই আজ দলের গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিল  বিলম্বের কারণ বলে আমরা মনে করি।

তাছাড়া, প্রেসিডিয়ামের একাধিক সদস্যের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল—দলের পুরনো, ত্যাগী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতাদের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গঠন করা হোক। কিন্তু একতরফা আধিপত্য বজায় রাখার জন্য   মাননীয় চেয়ারম্যান সেই উদ্যোগেরও বিরোধিতা করছেন। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। 

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ—একজন রাষ্ট্রনায়ক, যিনি সর্বদা সংগঠনের ভিতরে গণতন্ত্র, শৃঙ্খলা ও দলীয় ঐক্যের চর্চা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, দল চলবে সকলের মতামতের ভিত্তিতে, এবং নেতৃত্ব আসবে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার  মাধ্যমে। আজ তাঁর সেই মহান আদর্শ থেকে বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে—যা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাই, মাননীয় চেয়ারম্যান যেন অবিলম্বে একগুয়েমী ও স্বেচ্ছাচারিতার পথ থেকে সরে এসে, পল্লীবন্ধুর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, অনতিবিলম্বে জাতীয় কাউন্সিলের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন এবং সেই কাউন্সিল প্রেসিডিয়ামের  সভা আহবান করে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাসময়ে কাউন্সিল  আয়োজনে সহযোগিতা করবেন।

জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী এবং গণতান্ত্রিক দল হিসেবে পুনর্গঠনের এটাই উপযুক্ত সময়। দয়া করে দলকে একক সিদ্ধান্ত, গোপনীয়তা এবং দায়বদ্ধতা বিবর্জিত নেতৃত্বের দিকে নয়—বরং অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা এবং যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে ঐক্যের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়