শিরোনাম
◈ বিনিয়োগ রাজনীতিতে বাংলাদেশের ভারসাম্য কৌশল ◈ একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড পদ্মা-যমুনা সেতুতে ◈ সিএনজি-মোটরসাইকেলে ট্রেনের ধাক্কা, কালুরঘাট সেতুতে শিশুসহ নিহত ৩ ◈ ডলার ভাঙানোর কথা বলে প্রতারণার ফাঁদ, লুটের ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার ◈ ভারতে চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি -পুলিশের  সর্তকতা জারী ◈ ‘কালো মানিক’ উপহার হিসেবে নেবেন না খালেদা জিয়া, চেয়েছেন দোয়া ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্প-শি জিনপিং ফোনালাপ: বাণিজ্য উত্তেজনার মাঝে নতুন আলোচনার সূচনা ◈ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে ঈদুল আজহা আজ ◈ বরকত উল্লাহ বুলু ও শামসুজ্জামান দুদুকে সতর্ক করেছে বিএনপি! ◈ অবশেষে জানা গেল ঢাকার ধামরাইয়ে ট্রিপল  মার্ডারের আসল রহস্য!

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২৫, ১০:২৫ দুপুর
আপডেট : ০৬ জুন, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

ট্রাম্পের বাজেট বিলকে ‘জঘন্য ও লজ্জাজনক’ আখ্যা ইলন মাস্কের!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের মূল অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নতুন বাজেট ও কর বিল নিয়ে মুখ খুললেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ধনকুবের ইলন মাস্ক। বাজেট বিলকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘একটি জঘন্য ও লজ্জাজনক বিল’ হিসেবে, যা দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যতের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর। খবর বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস মাসখানেক আগে বিলটি পাস করে। এতে ট্রিলিয়ন ডলারের করছাড়, প্রতিরক্ষা খাতে অতিরিক্ত ব্যয় এবং সরকারের ঋণের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।

এক্স-এ একাধিক পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, ‘এই অবিশ্বাস্য রকমের অপচয়মূলক বিলটি বাজেট ঘাটতিকে ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবে এবং আমেরিকান নাগরিকদের ওপর এক অমানবিক ঋণের বোঝা চাপাবে। যারা এই বিলে ভোট দিয়েছে, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।‘

একসময় ট্রাম্প প্রশাসনের পরামর্শক হিসেবে কাজ করলেও মাস্ক গত ৩১ মে আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন। ‘ডোজ’ নামে পরিচিত তার টিম প্রশাসনের খরচ কমাতে কাজ করছিল। সরকার থেকে সরে আসার পর এটি ছিল মাস্কের প্রথম সরাসরি ট্রাম্পবিরোধী বক্তব্য।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইলন মাস্কের অবস্থান সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট আগে থেকেই জানতেন। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, ‘এটি একটি বড়, সুন্দর বিল এবং প্রেসিডেন্ট দৃঢ়ভাবে এই বিল সমর্থন করছেন।‘

বিলের বিতর্কিত দিকগুলো হল— ২০১৭ সালের করছাড় সম্প্রসারণ, ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে ঋণের সীমা বৃদ্ধি, অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপক হারে বহিষ্কারের ক্ষেত্রে অর্থায়ন, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক বৃদ্ধি, নির্বাচনি এলাকাভিত্তিক প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বা ‘পোর্ক’। এক্ষেত্রে, ‘পোর্ক’ শব্দটি মার্কিন রাজনীতিতে এমন ব্যয় বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা বিশেষ কোনো নির্বাচনী এলাকার স্বার্থরক্ষায় বরাদ্দ হয় এবং যে বরাদ্দকে প্রায়শই দুর্নীতির শামিল বলে বিবেচনা করা হয়।

এ বিল নিয়ে রিপাবলিকান দলের মধ্যেই এখন দ্বিধা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সিনেটেও বিলটি এখন আলোচনাধীন এবং সেখানে বিতর্ক আরো তীব্র হতে পারে বলে ধারণা। কেন্টাকির সিনেটর র‍্যান্ড পল সাফ জানিয়েছেন, এই বিল যদি ঋণের সীমা বাড়ায় তবে তিনি তা সমর্থন করবেন না। ট্রাম্প পাল্টা একাধিক পোস্টে পলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘কেন্টাকির মানুষ তাকে সহ্য করতে পারে না। তার ধারণাগুলো আসলে পাগলামি।‘

অ্যাক্সিওস নামের একটি রাজনৈতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থায় তার স্টারলিংক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রস্তাব খারিজ করা হলে ক্ষুব্ধ হন মাস্ক।

বিলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মাস্ক। তিনি লিখেছেন, ‘আগামী নভেম্বরেই সেই সব রাজনীতিবিদদের চাকরি যাবে, যারা আমেরিকান জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।‘ সূত্র: বণিক বার্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়