শিরোনাম
◈ ঐকমত্য কমিশনের প্রথম ধাপ শেষ: বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য দলের অবস্থান ভিন্নমুখী ◈ আমি একটা কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছি: আমিনুল ইসলাম বুলবুল (ভিডিও) ◈ বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় চাপে বাংলাদেশের পোশাক খাত: নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন ◈ দেশের সমস্যা বিদেশে গিয়ে বলে লাভ নেই: আমীর খসরু (ভিডিও) ◈ দুর্বল ব্যাটিং, বাজে পরিকল্পনা—সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ  ◈ বাংলাদেশিদের জন্য যেসব দেশে ভিসা সীমিত হয়েছে ◈ ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তা হ্রাসের প্রভাব: জাতিসংঘে চাকরি হারাচ্ছেন হাজারো কর্মী ◈ একীভূতকরণে শুধু দুর্বল ইসলামী ব্যাংক, এনবিএল নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক ◈  ছাত্রদলের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ছাত্রীদের রুম ছাড়ার হুমকি ◈ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য যুবদল নেতা নয়নের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৫, ০৩:৩৮ দুপুর
আপডেট : ৩১ মে, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পথসভার যে অভিজ্ঞতা কখনো ভুলবেন না তাসনিম জারা

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) প্রচারে গত তিন দিন ধরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ২৫টির বেশি সমাবেশে অংশ নিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাকের করে পথসভা করেছেন তিনি। যেখানে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার কথা জানান জারা।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৩ দিনের সমাবেশের অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেন তাসনিম জারা। যেখানে রাজনীতিবিদ হিসেবে জীবনের প্রথম এমন পথসভার অভিজ্ঞতাকে কখনো ভুলবেন না বলে জানান তিনি।

তাসনিম জারার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

চট্টগ্রামের ভালোবাসায় সিক্ত

তিন দিনে ২৫টির বেশি সমাবেশে অংশ নিয়েছি, হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রথম রোড ট্যুর ছিল এটা। এই অভিজ্ঞতা আমি কখনো ভুলব না।

যতই এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় গিয়েছি, মানুষের ভিড় ততই বেড়েছে। কিন্তু শুধু ভিড় নয়, আমাকে সবচেয়ে ভালো লেগেছে মানুষ যেভাবে যোগ দিয়েছে সেটা দেখে। কেউ এসেছে রাস্তায়, আবার কেউ আমাদের দেখেছে ছাদ থেকে, জানালা থেকে, বারান্দা থেকে। কেউ গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছে, কেউ হাত নেড়েছে, হাসি দিয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সবার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে হাত নাড়তে।

বাহাদ্দারহাটে চোখে পড়ে একটি ছোট ছেলে, হয়তো সাত-আট বছর বয়স হবে। একটি বিল্ডিংয়ের বারান্দায় গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখছিল। পাশে ছিল তার পরিবারের কয়েকজন। আমি হাত নাড়লাম, ওরাও নাড়ল। পরে যখন আমি বক্তব্য শুরু করি, সেই বারান্দার দিকেই ইশারা করে বলেছিলাম, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে এই শিশুটি নিরাপদে বড় হতে পারবে, তার সামর্থ্য ও স্বপ্ন পূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারবে। আমি যখন ওর কথা বলি, ওর পরিবার ছেলেটাকে তুলে ধরে। সবাই ওর প্রতি করতালি দেয়।

আমরা এই জন্যই রাজনীতি করব। এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে কাজ করব, যেখানে শুধু বেঁচে থাকার সুযোগ নয়, সম্মানের সঙ্গে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি নাগরিক যেন নিজের ক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিকাশ করতে পারে। অমর্ত্য সেন আর মার্থা নুসবাম একে বলেন “Capability Approach”।

এই সফরে যেসব অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আমার চিন্তা, দর্শন ও কাজকর্মে প্রভাব ফেলবে। একজন রাজনীতিক হিসেবে না, একজন নাগরিক হিসেবেও।

আজ থেকে আবার যাত্রা শুরু। মোহাম্মদপুরে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে রোড র‌্যালিতে অংশ নিচ্ছি। আপনাদেরকে আমন্ত্রণ রইল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়