শিরোনাম
◈ চার দশক পর জাতিসংঘের মঞ্চে নেতৃত্বের দৌড়ে বাংলাদেশ ◈ ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় গাজায় নিহত ছাড়ালো ২৫০ ◈ এক চাকা খুলে পড়া অবস্থায়ও প্রথম চেষ্টায় অবতরণ: উত্তেজনাপূর্ণ শেষ ৩ মিনিটে কী আলোচনা করেছেন পাইলট ও এটিসি ◈ ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য মরণফাঁদ: মঈন খান (ভিডিও) ◈ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যে ৮ জেলায় সকালের মধ্যে ঝড় হতে পারে ◈ তিন ধাপে জালনোট তৈরির ভয়ংকর ফাঁদ (ভিডিও) ◈ ‘শয়তানের নিঃশ্বাসে’ সম্মোহিত: আত্মীয় সেজে প্রবাসীর সর্বস্ব লুটে নিলো প্রতারক নারী (ভিডিও) ◈ জবি আন্দোলনে আলোচিত দিপ্তী চৌধুরী (ভিডিও) ◈ সব দলের রাজনীতি এখন আ.লীগের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২৫, ০৬:৪৯ বিকাল
আপডেট : ১৭ মে, ২০২৫, ০৩:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিষেধাজ্ঞার পর গোপনে সক্রিয়তা: পাল্টে যাবে কি আওয়ামী লীগের কৌশল?

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।। বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার পর দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই নিষেধাজ্ঞা কি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা আরও কঠিন করে তুলবে, কী হতে পারে দলটির রাজনৈতিক পরিণতি?

এসব প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। যে প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে রাজনীতিক ও বিশ্লেষকদের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞার সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার অভিযান আরও বাড়ানো হতে পারে। তখন দলটির গোপন তৎপরতার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২০২৪ সালের ৫ই অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই কাগজে-কলমে না হলেও কার্যত নিষিদ্ধ ছিল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম। সারাদেশে থাকা দলের পদ পদবী নেতাদের এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করতে দেখা গেছে। মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে বহু নেতাকর্মী পলাতক। অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ যখন মাঠের কার্যক্রমে অনুপস্থিত সেই সময়ে আন্দোলন ও দাবির মুখে সরকার নির্বাহী আদেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে—যা বহাল থাকবে ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত

নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে আওয়ামী লীগ বাড়তি চাপের মুখে পড়লো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে সাইবার স্পেসেও দলটির কার্যক্রম থাকবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রকাশনা প্রচার বন্ধ হবে, শাস্তির বিধানও করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধনও বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু এরকম নিষেধাজ্ঞা সাময়িক একটা বাধা তৈরি করলেও গোপনে আরো বেশি তৎপরতা বাড়তে পারে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সামিনা লুৎফা।

তার কথায়, "যখনই কাউকে নিষিদ্ধ করা হয়, তখন তো তার সারভাইবালটা থ্রেটের মধ্যে পড়ে। মানুষের যখন সারভাইভ্যাল থ্রেটের মধ্যে পড়ে, তখন মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে সারভাইভ করার জন্য। এবং সেটার জন্য যা কিছু দরকার খড়কুটো পেলে সে খড়কুটো আকড়ে ধরে। তখন ঐক্য দৃঢ়তর হয়, সংহতি বাড়ে।"

"একারণে সমাজে যেকোনো কিছু নিষিদ্ধ করলেই সাধারণত সমাজবিজ্ঞানীরা আমরা মনে করি এটা একটা ভুল স্টেপ। কারণ যখনই আপনি ওটা বন্ধ করবেন তখনই ওটা বাড়বে। তলে তলে বাড়বে। কিন্তু আপনি নিজে টের পাবেন না। কারণ ওরা তো বাইরে কাজটা করতে পারছে না। আর যখনই কেউ বাইরে কাজটা করতে পারে না তার মানে তো এটা না যে তারা এগজিস্ট করে না। বাংলাদেশ ভর্তি এত লক্ষ লক্ষ আওয়ামী লীগ কোথায় যাবে?" বলেন সামিনা লুৎফা।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আওয়ামী লীগ নিজেকে ভিকটিম হিসেবে দেশ বিদেশে প্রচার করবে এবং কিছুটা সহানুভূতি আদায় করতেও সক্ষম হতে পারে বলে মনে করেন এই সমাজবিজ্ঞানী। তার ভাষায়, নির্বাহী আদেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহানুভূতি আদায়ে কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে।

"এটাই কিন্তু তাদের মূল গেইম যে, তাদের মেটিক্যুলাস প্ল্যানে ষড়যন্ত্র করে উৎখাত করা হয়েছে, পুলিশ খুন করা হয়েছে। এই দুটো প্রসঙ্গ তারা বার বার আনেন এবং সেখানে সেই প্রসঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হলো। আর এখন যেটা ঘটবে- আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশে যে এইভাবে একটা ডিউ প্রসেসের মধ্যে দিয়ে না এসে, ডেমোক্রেসির পথে যাওয়ার জন্য যে ট্রানজিশনাল জাস্টিসের প্রক্রিয়াগুলো আছে, সেগুলোর পথে না গিয়ে, ট্রুথ ও রিকনসিলিয়েশনের দিকে না গিয়ে আমরা যে ওদেরকে বন্ধ করে দিলাম এটার তো একটা ইমপ্যাক্ট হবে না?" বলেন তিনি।

সামিনা লুৎফা বলেন, কোনো কিছুকে নিষিদ্ধ করা হলে তলে তলে গ্রোথটাকে বন্ধ করা যায় না। নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেই মানুষ সেটা নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করে না। নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেই মানুষ সেটা নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করে না বরং সেটা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক থাকে।

তিনি মনে করেন, যে প্রক্রিয়ায় এবং যেভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বরং ফিরে আসার পথ সহজ করবে।

জুলাই আন্দোলন মোকাবিলায় সহিংস অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি রয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনকালে গুম, খুন ও দমন-পীড়নের অভিযোগে দলটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইতিহাস বলে, অতীতেও নিষেধাজ্ঞা ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, এবার আওয়ামী লীগের পুনরুত্থানের জন্য নির্ধারক হবে দুইটি বিষয়—এক, নেতৃত্ব দিয়ে দলটি কী করতে পারে, এবং দুই, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সরকার ব্যর্থ হলে সুযোগ তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করতে হলে তাকে তো তার একটা পটভূমি তৈরি করতে হবে। এখন যে সরকার আছে বা যে সরকার আসবে তারা যদি জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়, সে সুযোগটা আবার আওয়ামী লীগ নিয়ে নেবে। নিষিদ্ধ করলেই যে কামব্যাক করতে পারবে না, এমন কোনো কথা নাই। জামায়াত তার জীবনে চারবার নিষিদ্ধ হয়েছে, জামায়াত তো আছে।"

"আওয়ামী লীগের কামব্যাক করার শর্তগুলো তৈরি করে দেবে–– আওয়ামী লীগের নিজেকে কিছু করতে হবে ক্যাটালিস্ট (অনুঘটক) হিসেবে এবং তার প্রতিপক্ষ এখন যারা আছে মাঠে তারা যদি তাদের ব্যর্থতার মাধ্যমে শর্ত তৈরি করে দেয়। এই দুটোর মিথস্ক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সুবিধাটা পাবে। তো সেটার সময়টা বলা যাচ্ছে না। এটা এমনকি পাঁচ বছরের মধ্যে হয়ে যেতে পারে, ১৫ বছরও লাগতে পারে। বলা যাচ্ছে না। এখানে আরেকটা কথা আছে- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার ওপরেও নির্ভর করবে," বলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ।

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসা সময়সাপেক্ষ হবে।

"আওয়ামী লীগের নির্যাতনের, দুঃশাসনের স্মৃতিটা এত প্রবল এত জীবন্ত যে সহসা কামব্যাক করা সম্ভব হবে না, যদি না এখনকার সরকার বা পরবর্তী সরকার ব্যর্থ হয়। কারণ জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যদি পরবর্তী সরকারের মাধ্যমে না হয় তাহলে আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত তৈরি হবে। মানুষ বলতে শুরু করবে যে আমরা আগেই ভালো ছিলাম।"

পাঁচই অগাস্টের পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পলাতক এবং তারা প্রকাশ্যে রাজনীতিতে নেই। জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে দলের ভেতরে অনুশোচনার তেমন কোনো প্রকাশও দেখা যায়নি। এমনকি সমর্থকরাও দলের পক্ষে মুখ খুলছেন না।

বিশ্লেষকদের মতে, এসব বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি ও কষ্টসাধ্য একটি প্রক্রিয়া।

মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, "এই মুহূর্তে তো আমি বলবো খুব কঠিন। কিন্তু আবার কঠিনও মনে হচ্ছে না এই জন্য, মানে আওয়ামী লীগ যাদের প্রতিপক্ষ তাদের মধ্যে মেজর প্লেয়ার বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপি। এখন এদের মধ্যে যদি অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ে বা বাড়তে থাকে তাইলে আওয়ামী লীগের পক্ষে জমি ধীরে ধীরে উর্বর হবে।"

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা দলটিকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে। স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'কে সামনে রেখেই রাজনীতি করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যেভাবেই হোক, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একাত্তরের 'মুক্তিযুদ্ধ' ইস্যুটি প্রাসঙ্গিক থাকবেই, আর তা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অস্তিত্বের এক বড় উপাদান হিসেবে অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ফজলুর রহমান। মি. রহমান এখন বিএনপি চেয়ারপারসনেরউপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষ শক্তি আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হবে।

ফজলুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রথম জীবনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিও করেছেন। নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে মতামত চাইলে তিনি বলেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে নন। তবে তার দল বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে যে অবস্থান নিয়েছে, সেটিকে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিণতি কী হতে পারে, এ ব্যাপারে ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি দলের রাজনীতি নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়।

"কোনো দল নিষিদ্ধ করলেই সেই দল শেষ হয়ে যায় এইটার কোনো প্রমাণ এই পৃথিবীতে নাই। আর আওয়ামী লীগের ব্যাপারে একটা কথা প্রকৃষ্টভাবে বলা যায়, বাঙালি যতদিন থাকবে। এই দেশের ৯৯ পার্সেন্ট মানুষ বাঙালি। বাঙালি যতদিন থাকবে, বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে, আওয়ামী লীগের যারা অন্যায়-অপরাধ করছে তাদের বিচার হবে, তারা রাজনীতিতে না আসলেও তাদের আদর্শের নামে এই দেশে রাজনীতি হবে এই রাজনীতি ফিরে আসবে। সেই রাজনীতি হলো গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ। ভুল যদি করে থাকে মানুষে করছে, দল করে নাই। কাজেই মানুষের বিচার হবে, দলের বিচার হবে কেন?"

বিবিসি বাংলাকে মি. রহমান বলেন, "আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে পারবে কিনা তাদের যোগ্যতার ওপর নির্ভর করবে। তবে আমি চাই যারা অন্যায় করছে তাদের বিচার হোক।"

মি. রহমান বলেন, বাংলাদেশ সামনে মুক্তিযুদ্ধে পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি এই দুইভাগে বিভক্ত হতে যাচ্ছে এমন ইঙ্গিত তিনি দেখছেন। তিনি বলেন আওয়ামী লীগের বাইরেও কোটি কোটি মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রয়েছে, সেই রাজনীতি থাকবে।

"আমার বিশ্লেষণটা হলো আওয়ামী লীগের রাজনীতি যেটা আছে সেটা আবার ফিরে আসবে এদেশে। কারণ যেহেতু বাঙালি আছে। বাঙালি ৯৯ পার্সেন্ট মানুষকে বাদ দিয়ে যদি কেউ মনে করে যে স্বাধীনতাবিরোধী এক পার্সেন্ট মানুষকে নিয়ে থাকবে এই দেশে, আর সব বাইরে যাইবো গা বা মইরা যাইবোগা বা বঙ্গোপসাগরে পইড়া যাইবো গা তাইলে এই দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকবে, কেউ এটা শেষ করতে পারবে না।"

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগেরও রাজনীতিতে ফিরে আসার একট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন মহিউদ্দিন আহমদ।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ ভিন্ন কোনো রাজনীতির দলের সম্ভাবনার প্রশ্নে তিনি বলেন, "না, আওয়ামী লীগ ছাড়া তো কোনো সংগঠিত শক্তি আমি দেখছি না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বলতে অন্যান্য ছোট ছোট দলগুলোও আওয়ামী লীগকেই বোঝে। যে কারণে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গেই জোটবদ্ধ হয়েছিল।"

"এখন মুক্তিযুদ্ধের শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে বিএনপি। যদি তারা এই মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারটাকে আপহোল্ড করে। অতীতে তারা সেভাবে করেনি। এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলোর সাথে তারা জোট বেঁধেছিল এবং জোট বেঁধে ক্ষমতার রাজনীতি করেছে।"

বিএনপি আওয়ামী লীগের বাইরে নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে চব্বিশের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের দল এনসিপি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে তারাই।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটি বড় অংশের জনসমর্থন এনসিপির চাইবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু নতুন এ দলটি কতটা সক্ষম হবে সেই প্রশ্নে খুব একটা আশাবাদ প্রকাশ করেননি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়