শিরোনাম
◈ এনবিআরের আন্দোলন পরিকল্পিত ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী: প্রধান উপদেষ্টা দপ্তরের সতর্কবার্তা ◈ ফৌজদারি কার্যবিধিতে বড় পরিবর্তন: ভুয়া মামলা ও গ্রেফতার বাণিজ্য ঠেকাতে নতুন বিধান ◈ মুরাদনগরের ধর্ষণ মামলায় নতুন মোড়: স্বামীর পরামর্শে ভুক্তভোগীর ‘স্বেচ্ছায়’ মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ◈ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবশেষে সাহসী সিদ্ধান্ত জর্ডানের ◈ ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি স্থগিত, বিকেলে আন্দোলকারীদের সঙ্গে বসবেন অর্থ উপদেষ্টা ◈ উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে হোটেল দখলের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৯ ◈ ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার ◈ যে কারণে মারা গেলেন "কাটা লাগা" গানের মডেল শেফালী (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশ বিমানবন্দরের ‘স্পর্শকাতর প্রকল্পে’ আমিরাতি রাষ্ট্রদূতের অংশীদারত্ব, জড়িত ২ বাংলাদেশিও ◈ গোপন ক্ষয়ক্ষতির তথ্য ফাঁস: ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেলআবিবের অভিজাত এলাকা

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২০ দুপুর
আপডেট : ১৩ মে, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে যা বলতে চেয়েছিলেন

ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়েছে শেখ হাসিনা। এখনও সেখানেই অবস্থান করছেন। পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে রেডিও-টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। 

বলেছিলেন- দীর্ঘ নয়, অল্প সময় কথা বলবেন তিনি। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহে সে সুযোগ পাননি হাসিনা। তখন তাকে বলা হয়, চারদিকে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। সবাই মারমুখো। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গণভবনে পৌঁছে যেতে পারে। তার নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। হাসিনা বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। বক্তৃতার একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন তিনি। 

নানা সূত্রে জানা যায়, এতে তিনি বলতে চেয়েছিলেন- তার ইচ্ছায় নয়, বলপূর্বক তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। কারা এবং কোন বিদেশি শক্তি তার সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে এটাও তিনি জানাতে চেয়েছিলেন। তার শাসনকালে দেশের কী কী উন্নয়ন হয়েছে তারও বয়ান ছিল। সকাল থেকে দুপুর, এ সময় নানাভাবে দরকষাকষিও চলছিল। বারবার ফোন আসছিল নয়াদিল্লি থেকে। বলা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। 

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঢাকার তরফে দিল্লিকে বলা হয়েছিল- তারা যেন বিমান পাঠিয়ে হাসিনাকে নিয়ে যান। সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি দিল্লি। এরপর বাংলাদেশের স্ব-উদ্যোগে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমানে তাকে দিল্লি পাঠানো হয়। হাসিনাকে বহনকারী বিমানে আরও দু’জন ছিলেন। তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

এই সময়েই গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর আসে যে বিপুল পরিমাণ জনতা গণভবনের দিকে আসছেন। ৪৫ মিনিটের মধ্যে গণভবন ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে বলা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে যান হাসিনা। সেখানে তাদের কিছু জিনিসপত্র চপারে ওঠানো হয়। এরপর পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন হাসিনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়